‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ অনুষ্ঠান আয়োজনে ঢাবিতে নিষেধাজ্ঞা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫০ PM , আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৪ PM
রমজান নিয়ে আলোচনা সম্পর্কিত ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি না দিতে হলের প্রভোস্ট, অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকদের চিঠি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অফিস। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের বাসভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে আইন বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ‘প্রোডাক্টিভ রমাদান’ শিরোনামে রমজান বিষয়ক আলোচনার আয়োজন করে। সেখানে হামলার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। হামলায় অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়।
আরও পড়ুন: মসজিদে রোজা নিয়ে আলোচনা, ঢাবি ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনার জের ধরে কিছু রাজনৈতিক সংগঠন ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত ব্যক্তিবর্গ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছে। একইসাথে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানোর জন্য এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি না দেওয়ার অনুরোধ করছে।
এদিকে আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারী প্রক্টর ফার্মেসি অনুষদের অধ্যাপক ড. আব্দুল মুহিত নেতৃত্বে কমিটিতে রয়েছেন ইলেকট্রিকাল ও ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম এল পলাশ এবং প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
কমিটিকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজ তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে প্রোডাক্টিভ রমাদান শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে সেটির তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ১৫ মার্চ আমি চিঠি দিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছি কারণ এ ধরণের অনুষ্ঠান আবার হলে আবারও বিশৃঙ্খলা হতে পারে। এতে করে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে ভেবে এই ব্যানারে রমজান বিষয়ক আলোচনা যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করেছি। এর বাইরে রমজান বিষয়ক আলোচনায় নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়নি।