ঢাবিতে চালু হবে চক্রাকার বাস সার্ভিস

ঢাবির লাল বাস
ঢাবির লাল বাস   © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত দিনে দিনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। সে তুলনায় বাড়েনি পরিবহন সুবিধা। দিন যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক সমস্যা প্রকট হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে একমাত্র বাহন রিকশা। তবে চলাচলরত রিকশার জন্য নির্দিষ্ট কোনো ভাড়ার তালিকা নেই। তাই অনেক সময় এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ঝামেলায় জড়াতে দেখা যায়।  শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ও রিকশার দৌরাত্ম্য কমাতে চক্রাকার বাস চালুর বিষয়ে ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য ১৮টি রুটে মোট ৭৪টি বাস চলাচল করে। পরিবহন অফিসের তথ্যমতে, ৭৪টি বাসের মধ্যে দোতলা বাস ৫০টি এবং একতলা ২৪টি। দোতলা বাসে আসন ৮৪টি আর একতলায় ৫২টি। সবমিলিয়ে বাসে মোট আসন পাঁচ হাজার ৪৪৮টি, যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১৪ শতাংশ। তবে এসব বাস ক্যাম্পাসের বাইরে চলাচল করে। 

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হল, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য চক্রাকার বাস চালু রয়েছে। তবে তা অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্ট হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের সব জায়গায় সাশ্রয়ী ভাড়া কিংবা আইডি কার্ড প্রদর্শন ও অন্য কোনো মাধ্যমে চক্রাকার বাস চালু করার প্রস্তাব রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে শিক্ষকদের ৪০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখলেন ছাত্রলীগ কর্মীরা

রেজিষ্ট্রার ভবনের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসন এ নিয়ে ভাবছে। আশা করি শিগগিরই নতুনভাবে নীতিমালা তৈরি করা হবে। দ্রুতই এ নিয়ে কাজ শুরু হবে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমবে। তবে নীতিমালা তৈরির পর জানা যাবে করে থেকে চক্রাকার বাস চালু হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নেওয়াজ শরীফ আরমান বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসের এক জায়গা। থেকে অন্য জায়গায় যেতে হয় রিকশা, নয়তো হেঁটে। রিকশায় যেতে অনেক বেশি টাকা গুনতে হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য কষ্টসাধ্য। হেঁটে যাওয়া অনেক সময়সাপেক্ষ এবং কষ্টকর। তা ছাড়া এই ক্যাম্পাসে হাঁটার সুষ্ঠু পরিবেশটুকু নেই। অন্যদিকে গাড়ির দৌরাত্ম্যে নিরাপদে হাঁটাও যায় না। যদি চক্রাকার বাস থাকে তা হলে শিক্ষার্থীরা নিরাপদে, কম সময় এবং কম খরচে ক্যাম্পাসে চলাচল করতে পারবেন বলে আমি মনে করি।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের চক্রাকার বাস রয়েছে, তবে তা অপ্রতুল এবং সবার জন্য নেই। আমাদের পরিবহন সেক্টরে লোকবল কম, সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি। সবাইকে কীভাবে চক্রাকার বাসের সুবিধা দেওয়া যায় তা নিয়ে ভাবছি।’

উপাচার্য আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট, সাশ্রয়ী ভাড়া কিংবা কোন পদ্ধতিতে এ ব্যবস্থা করা যায় তা নিয়ে একটি নীতিমালা করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পরিকল্পনায় আলাদা সাইকেল লেন তৈরির বিষয়ও রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ