জার্মানভিত্তিক রাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান

কেএএসওয়াইপির ফেলো নির্বাচিত হলেন ঢাবি ছাত্রদল নেতা দ্বীন

  © টিডিসি ফটো

জার্মানভিত্তিক রাজনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কনরাড অ্যাডেনাউর স্কুল ফর ইয়াং পলিটিশিয়ানস (কেএএসওয়াইপি) এর দুই বছর মেয়াদী (২০২২-২০২৩) যুব রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ ফোরামের কর্মশালার প্রশিক্ষণার্থী (ফেলো) নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের সদস্য দ্বীন ইসলাম। তিনি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে দ্বীন ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এবার আমিই শুধু বাংলাদেশ থেকে এই ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে এটা কার্যক্রম শুরু হবে। অফলাইন এবং অনলাইনে দুইভাবেই প্রশিক্ষণ চলবে।

তিনি আরও বলেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেসব ব্যক্তি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে মূলত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যাতে তারা রাজনীতিতে আরও ভালো অবদান রাখতে পারে।

জানা যায়, কেএএসওয়াইপি হল একটি সক্ষমতা-উন্নয়ন কর্মসূচি যা কনরাড অ্যাডেনাউয়ার স্টিফটাং (কেএএসপিডিএ) এর আঞ্চলিক প্রোগ্রাম পলিটিক্যাল ডায়ালগ এশিয়ার দ্বারা ২০১০ সালের মার্চ থেকে বাস্তবায়িত হয়ে আসছে। ১১ বছর ধরে কেএএসওয়াইপি ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শক্তিশালী করণের লক্ষ্যে অবদান রেখে চলেছে। তরুণ রাজনীতিকদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে এই অঞ্চলে প্রতিনিধিত্বশীল এবং গণতান্ত্রিকভাবে দায়বদ্ধ দলগুলোকে সমর্থন করাই কেএএসপিডিএ-এর লক্ষ্য।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিচালিত দলসহ অন্য যেকোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করা কেএএসপিডিএ প্রকল্পের মৌলিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। সুষ্ঠু-সভ্য সমাজে প্রতিষ্ঠিত সুচালিত রাজনৈতিক দল পরিপক্ক গণতান্ত্রিক আদর্শ ও নীতি বাস্তবায়নে অধিক অবদান রাখতে পারে।

সাধারণত কেএএসপিডিএ দুই বছর মেয়াদী রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে থাকে। এই দুই বছরের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হল তরুণ রাজনৈতিক নেতাদের রাজনৈতিক ক্যাডার হিসেবে গড়ে তোলা; যারা এশিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অগ্রগতিতে নেতৃত্ব দেবেন।

কেএএসপিডিএ দুই বছরের কর্মসূচির লক্ষ্য নিম্নলিখিত উদ্দেশ্য অর্জন করা:

১। গণতান্ত্রিক সমাজে রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা এবং কার্যকারিতা, আন্তঃদলীয় গণতন্ত্রের গুরুত্ব, সুশাসনের নীতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যবস্থার সুবিধা এবং অসুবিধা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আরও ভাল বোঝার এবং উপলব্ধির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের গণতান্ত্রিক জ্ঞানকে শক্তিশালী করা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিভ্রান্তি, বাজার অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য, বহুপাক্ষিকতা, এবং গণতান্ত্রিক শাসনের অন্যান্য দিক।

২। যোগাযোগ এবং উপস্থাপনা (পিচিং, ফ্রেমিং, গল্প বলা, বিতর্ক, জনসাধারণের বক্তৃতা), নির্বাচনী প্রচারের কৌশল (প্রচারণা পরিকল্পনা), প্রোগ্রাম উদ্ভাবন এবং নকশা (প্রথম ১০০ দিনের পরিকল্পনা), এবং ব্যস্ততা এবং উপস্থাপনে প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধিকরন নেটওয়ার্কিং (কূটনীতি প্রোটোকল)।

৩। জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সমতা, বৈচিত্র্য, আইনের শাসন, সত্য, সহনশীলতা, জনপ্রিয় সার্বভৌমত্ব এবং অন্যান্য উদার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতির অনুশীলন ও অংশগ্রহণকারীদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি লালন করা। 

৪। এশিয়া ও ইউরোপের স্থানীয় ও জাতীয় নেতাদের সাথে অফলাইন এবং অনলাইন পিয়ার-টু-পিয়ার বিনিময় এবং সংলাপের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের নেটওয়ার্ক প্রসারিতকরন।

৫। সংগঠন, প্রশাসন, আউটরিচ, সদস্যপদ কৌশল, পার্টি প্ল্যাটফর্ম, নির্বাচনী কৌশল, প্রশিক্ষণ এবং সম্পদ উপাদান উন্নয়ন এবং অন্যান্য কিছুর ক্ষেত্রে তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার উন্নতিতে অবদান রাখা।


সর্বশেষ সংবাদ