গণ অধিকার পরিষদ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৪৩ PM , আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫০ PM
নব গঠিত রাজনৈতিক দল গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন শাহবাগ থানায় এ আবেদন করেন।
তবে মামলার আবেদনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ। মামলার আবেদনে রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক ছাড়াও যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমানের নাম রয়েছে। মামলার আবেদনে সাম্প্রদায়িক হামলার নির্দেশ ও এতে মদদদানের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি গণমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে দেখতে পাই, বিগত ১৫ অক্টোবর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমীর পুজা উৎসবে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ নামক জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িক সংগঠনের স্থানীয় কতিপয় নেতা বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়ার নির্দেশে জেএমসেন হলসহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপে হামলা চালায়। যাদের কেউ কেউ পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হয়।
পড়ুন: নুর-রেজা কিবরিয়ার গ্রেফতার দাবি
উক্ত ঘটনার পরপরই এবং অতীতে বিভিন্ন সময়ে যুব অধিকার পরিষদ এর যুগ্ন আহ্বায়ক তারেক রহমান ফেসবুকে লাইভ করে উক্ত ঘটনা অস্বীকার করে বলে যে, ঊহা ২০২০ সালের সিসিটিভি ফুটেজ। একই সাথে উক্ত ঘটনার আগে ও পরে লাইভ করে।
লাইভে তারেক রহমান বাংলাদেশের মধ্যে ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টি করে ও উষ্কানি দিয়ে কুমিল্লা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে মন্দীর হামলায় বিএনপি জামায়াতের কর্মীদের উষ্কে দিয়ে রাষ্ট্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বৈধ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এতে বলা আরও হয়, গতকাল ২৬ অক্টোবর পল্টন জামান টাওয়ারে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নিষিদ্ধ সংগঠন জামাতের সঙ্গে জোট করে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার ঘোষণা দিয়েছেন। যা দেশের প্রচলিত আইন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। এয়াড়াও নুরুল হক নুর চট্টগ্রামের জে এম সেন হলের পূজামন্ডপে হামলাকারীদের নিরপরাধ বলে বক্তব্য দিয়েছেন যা সাম্পদায়িক হামলাকে উস্কে দেওয়ার শামিল।
বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালের হিন্দু সংখ্যালঘুদের মন্দীরে হামলা, ভাঙচুরের নির্দেশ গোপনে নুরুল হক নুর, রেজা কিবরিয়া ও তারেক রহমান গং-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশ ও মদদে সম্পন্ন করায় এই ৩ জন আসামী সাম্পদায়িক হামলার মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ সংঘটিত করেছে বিধায় মামলা রুজু করা আবশ্যক।
এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, এ মামলার আবেদন নিয়ে আমরা মোটেও বিচলিত নই। মামলাটি রাজনৈতিকভাবে দেখার হলে রাজনৈতিকভাবে, আইনগতভাবে দেখার হলে আইনগতভাবে দেখব।
শাহবাগ থানার ওসি মওদূত হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, এটা সাইবার ক্রাইম ডিভিশনে যাবে। তারা যাচাই-বাছাই করে মতামত দেওয়ার পর মামলা নেওয়ার মতো হলে আমরা মামলা নেব।