জাবির সামনে ১২ বাস আটকে গভীর রাতে ছাড়লেন ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১০ AM , আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ AM

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাজধানী পরিবহনের ১২টি বাস আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা বিরুদ্ধে। তার এক আত্মীয়ের প্রাইভেট কারের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১২টি বাস আটকে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে ‘ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে’ মধ্যরাতে বাসগুলো ছেড়ে দেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল ফটকের সামনে প্রথমে বাস আটকানো শুরু হয়। পরে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ‘ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে’ বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বলীভদ্র এলাকায় রাজধানী পরিবহনের একটি বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এরপর ক্ষতিপূরণ আদায়ের দাবিতে বিশমাইল গেটে রাজধানী পরিবহনের ১২টি বাস আটকে রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একপর্যায়ে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী দুটি বাস রাস্তার মধ্যে আড়াআড়িভাবে রেখে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে সাময়িক যানজট দেখা দেয়।
বাস চালকদের অভিযোগ, তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছাত্রদল নেতাকর্মীরা এসে বাসের চাবি নিয়ে চলে যান এবং গাড়িগুলো রাস্তার মাঝে রেখে যান।
বাস আটকের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা সেলিম রেজা (নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০তম ব্যাচ) বলেন, রাজধানী পরিবহনের একটি বাস আমাদের এক বড় ভাইয়ের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য আমরা দুটি বাস আটকাই। তবে বাসের কর্মচারীরা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে আরও কয়েকটি বাস আটক করা হয়।
তিনি দাবি করেন, আমরা প্রথম দিকে দুইটি বাস আটকাই, কিন্তু পরে কেউ বাস আড়াআড়ি করে রেখেছে, সেটা আমরা করিনি। বরং আমরা বাস সরানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছি।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত বাসচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর সমঝোতার ভিত্তিতে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।