আট বাম ছাত্র সংগঠনের নতুন জোটের ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে নতুন জোটের সংবাদ সম্মেলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে নতুন জোটের সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

বাম ধারার আটটি ছাত্র সংগঠন নতুন জোটের ঘোষণা দিয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। বুধবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন নেতারা। জোটে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের (নজির-রাগীব) নেতারাও আছেন।

অন্য সংগঠনগুলো হলো সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন (জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। ছাত্র ইউনিয়ন (ফয়েজ-দীপক) ও ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি আন্দোলন) এ জোটে নেই।

গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সমন্বয়ক সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সভাপতি সালমান সিদ্দিকী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে দীর্ঘদিন চলতে থাকা একদলীয় ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে জনজীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ আর শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি নেমে এসেছে। শাসকশ্রেণি কৌশলে পাঠ্যসূচিতে ইতিহাস বিকৃতি ও প্রতিক্রিয়াশীল উপাদান যুক্ত করছে। মানুষের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, ভূমির অধিকার কিংবা সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-কৃষ্টি সংরক্ষণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি সাদেকুল ইসলাম বলেন, সুস্পষ্ট কিছু দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে গণতান্ত্রির ছাত্রজোট গঠন করা হয়েছে। যেসব গণতান্ত্রিক শক্তি মনে করে, ফ্যাসিবাদকে রুখে দেওয়া দরকার, তাদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে চাই।

ছাত্র ইউনিয়ন (ফয়েজ-দীপক) ও ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি) না থাকার কারণ জানতে চাইলে সাদেকুল ইসলাম বলেন, যারা ১৩ দফা দাবি ও ঘোষণাপত্রের সঙ্গে একমত পোষণ করবে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে কোনো কোনো সংগঠনের সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি।

আরো পড়ুন: টাইম হায়ার র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যেতে পদক্ষেপ নিচ্ছে রাবি

ছাত্রদলের বিষয়ে সালমান সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন ছাত্রদল এখনকার ছাত্রলীগের মতোই সন্ত্রাস-দখলদারি ও নির্যাতন-নিপীড়নের রাজনীতি করেছে। ছাত্রদল ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ের অংশ হতে পারে না। আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে তাদের অবস্থান ও রাজনীতি সংগতিপূর্ণ নয়।

জোটের ১৩ দফা দাবিও ঘোষণা করেন সালমান সিদ্দিকী। এরমধ্যে রয়েছে- আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ; একই ধারার শিক্ষানীতি প্রণয়ন, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-বেসরকারীকরণ-সাম্প্রদায়িকীকরণ-সংকোচন নীতি বাতিল, জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২০ বাতিল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা, প্রশাসনিক তত্ত্বাবধানে আবাসিক হলে আসনবণ্টন, গণরুম-গেস্টরুম বন্ধ, ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া ইত্যাদি। এসব দাবিতে আগামী ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্র সমাবেশ হবে।

আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ইউনিয়নের (নজির-রাগীব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী, ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান, ছাত্র ফেডারেশনের (মুক্তি কাউন্সিল) সভাপতি মিতু সরকার, ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ