মেসির ৫০০তম গোলের জার্সি ৪ কোটি টাকায় কিনেছেন এক ছাত্র

গায়ের জার্সিটা খুলে রিয়াল সমর্থকদের দিকে উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি
গায়ের জার্সিটা খুলে রিয়াল সমর্থকদের দিকে উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি  © সংগৃহীত

৫ বছর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২-২ গোলে সমতায় ছিল বার্সা। জর্দি আলবার পাস থেকে ম্যাচের শেষ কিকে গোল করে স্কোরবোর্ড পাল্টে দেন লিওনেল মেসি। ৩-২ গোলের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় বার্সা। গায়ের জার্সিটা খুলে রিয়াল সমর্থকদের দিকে উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি। 

একে তো দল পায় ৩-২ গোলের জয়, আবার বার্সার জার্সিতে মেসির সেটা ৫০০তম গোল। জার্সিটা যেন তখন থেকেই অমূল্য। যদিও সেটা অমূল্য থাকেনি। কয়েক হাত ঘুরে জার্সিটি পৌঁছে গেছে অনিশ কানাবার নামের কানাডার এক ফুটবলভক্তের হাতে। মেসির ১০ নম্বরের বার্সার এই জার্সিটি কিনতে তাকে খরচ করতে হয়েছে সাড়ে চার লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। 

মাইলফলক ছোঁয়ার সেই ম্যাচের পর রিয়ালের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে জার্সি বদল করেন মেসি। রিয়ালের কোন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদুকর সেদিন জার্সি বদল করেন, সেটা এখনও জানা যায়নি। যেটা জানা গেছে তা হলো, রিয়ালের সেই খেলোয়াড় ৫ বছর জার্সিটি নিজের কাছে রাখার পর বিক্রি করে দেন মেসির খেলা জার্সি ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংরক্ষণ করে আসা আর্জেন্টাইন ব্যবসায়ী দামিয়ান অলিভেরার কাছে। 

অলিভেরা অবশ্য এই জার্সিটি নিজের সংরক্ষণে রাখেননি। জার্সিটি তিনি গোল্ডিনের সাইটে নিলামে তোলেন। এখান থেকেই মেসির জার্সিটি কেনার সুযোগ পেয়ে যান অনিশ। কিন্তু প্রশ্ন জাগতে পারে আমেরিকার শিকাগোয় কম্পিউটার সাইয়েন্স পড়ুয়া অনিশ এত টাকা কোথায় পেলেন? ২৪ বছর বয়সী মেসির এই ভক্ত জানিয়েছেন, ১০ বছর আগে হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকেই বিভিন্ন জিনিস বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত তিনি। এটা যে লাভজনক, তা দ্রুতই বুঝে ফেলেন তিনি। এভাবেই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সমৃদ্ধ করে তুলেছেন তিনি। 

বিভিন্ন জিনিস বেচাকেনা করলেও মেসির এই জার্সিটি অনিশের কাছে বিশেষ কিছু। যা কেনার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। জার্সি ধরে রাখা মেসির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, এটা আমার সংগ্রহশালায় আসছে। নিজের ৫০০তম গোলে এল ক্লাসিকোর ভাগ্য নির্ধারণের পর এই জার্সিটা উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি। অবিশ্বাস্য, এটা হলি গ্রেইলের (যীশুর পানপাত্র) মতোই পবিত্র।

কেবল মেসির জার্সিই নয়, আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো ম্যারাডোনার জার্সিও আছে তার সংরক্ষণে। অনিশ বলেন, আমি ফুটবল পছন্দ করি। এক সময় কিছু খেলেছি। নিজের পছন্দের খেলোয়াড়দের বিভিন্ন জিনিস সংগ্রহে রাখা শুরু করি তখন থেকে। মেসি ও দিয়েগো ম্যারাডোনার জার্সি সংগ্রহ করেছি। কারণ, তারা আমার প্রেরণা। তাদের মতো আর কাউকে দেখিনি।


সর্বশেষ সংবাদ