নেইমারের প্রিয় বন্ধু বাংলাদেশের রবিন

নেইমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রবিন
নেইমারের সঙ্গে বাংলাদেশের রবিন  © সংগৃহীত

আগামী ২০ নভেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবলের পর্দা উন্মোচন হবে কাতারের বৃহত্তম শহর আল-খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে। কাতার বিশ্বকাপ জয়ে ফেভারিটের প্রশ্নে সবাই এগিয়ে রাখছেন ব্রাজিলকে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও এবার হেক্সামিশনে নামবে সেলেসাওরা। এবারের বিশ্বকাপেও ব্রাজিল দলের বড় আশা নেইমার। তারকা ফুটবলার নেইমারের জীবনেই বড় একটা অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশি তরুণ রবিন মিয়া। ভৈরবের রবিন মিয়া সামলাচ্ছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নেইমারের প্রচারের দায়িত্ব। 

গত সপ্তাহের শুরুতেই তিনি বাংলাদেশের নাগরিক রবিন মিয়ার ছেলেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন। রবিন মিয়ার বাড়ি বাংলাদেশের ভৈরবে। তার কাঁধেই নেইমারের পাবলিসিটির দায়িত্ব। নেইমারের তিন দেশের পাবলিসিটি দেখেন রবিন।

কীভাবে পরিচয় হলো নেইমারের সঙ্গে প্রশ্নে বাংলাদেশের এক টিভি চ্যানেলকে রবিন জানালেন, জোয়ান সেনসু নামে এক ব্যক্তি নেইমারের খুব কাছের লোক। তিনি আবার তার বন্ধু। জোয়ান সেনসুই তাকে পরিচয় করিয়ে দেন নেইমারের সঙ্গে। 

রবিন বলেন, বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানি বা ব্র্যান্ড নেইমারের ফেসভ্যালু ব্যবহার করে তাদের ব্যবসার প্রচার ও প্রসার চায়। তারা আমাদের কাছে আসে। আমরাও খুঁজে বের করে পছন্দসই কোম্পানিকে প্রস্তাব পাঠাই। এ কাজটি আমি আর জোয়ান করি।

এবারের বিশ্বকাপে কাতারে নেইমার ও ব্রাজিলের খেলা দেখতে ওর বাবা নেইমার সান্তোস সিনিয়র আসবেন। ওর মা ও বোন রাফায়েলাও আসার কথা।  বিশেষ করে নেইমারের বাবা আসবেন নিশ্চিত। তিনিই ছেলের এজেন্ট, তিনিই সব কিছু দেখভাল করেন। আমাকে খুব ভালোবাসেন তিনি। নেইমারের ফ্যামিলির ফুল লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি আমি। 

বাংলাদেশে নেইমারের অগণিত ভক্ত-অনুরাগী, যা কয়েক লাখ ছাড়াবে। ব্রাজিল ও নেইমারের খেলা দেখতেই মুখিয়ে থাকেন বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশ বিষয়ে কতটুকু জানেন ব্রাজিলের পোস্টার বয়।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা বেশি ব্রাজিলের— বলছে অক্সফাের্ডের মডেল

রবিন বলেন, নেইমার বাংলাদেশ সম্পর্কে জানেন। তিনি জানেন, এ দেশে তার অসংখ্য ফ্যান-ফলোয়ার রয়েছে। সেখানে একটি ইন্টারনেট সাইটে নেইমারের ফ্যান সংখ্যা দেখানো হয়। তাতে ব্রাজিলের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান।

কাজের সুবাদে নেইমারের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক? রবিন বললেন, আসলে আপনারা তাকে খেলোয়াড় হিসেবে দেখেন। আমি দেখি, আমার একজন বন্ধু ফুটবল খেলে। সে সুপারস্টার। মানুষ হিসেবে নেইমার খুবই ভালো। 

আমি যে কোনো সেলিব্রিটি না। আমি বাংলাদেশি,আমি কোনো ফুটবলারও না। ধনী পরিবার থেকেও উঠে আসিনি আমি। কিন্তু নেইমারের ব্যবহারে তা বোঝা যায় না। আর সবার মতোই তিনি ও তার পরিবার আমার সঙ্গে মেশে। নেইমার আমার সঙ্গে কার্ডও খেলেন। একসঙ্গে খাবার খায়।

রবিনের বাবা হাজি আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, রবিন আমার ছোট ছেলে। সে খুব নম্র ও ভদ্র। দেশে পড়াশোনা শেষ করে চলে যায় ব্রাজিলে। সেখানে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে এগ্রিকালচারের ওপর ব্যবসা করছে। ব্যবসার সুবাদে নেইমারের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই থেকে আমার ছেলে নেইমারের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন দেশে তার প্রচারণায় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এটি আসলে আমার পরিবারের জন্য খুবই গর্বের বিষয়।


সর্বশেষ সংবাদ