বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের আইসিসিআর বৃত্তি, প্রতিমাসে থাকছে উপবৃত্তি

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের আইসিসিআর বৃত্তি
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভারতের আইসিসিআর বৃত্তি  © সংগৃহীত

ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেবে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্কলারশিপের জন্য আবেদন গ্রহণ চলছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা ভারতের নামকরা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে থাকেন। আবেদন চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্কলারশিপ হচ্ছে আইসিসিআর স্কলারশিপ। প্রতি বছর আইসিসিআর-এর আওতায় মোট ২০০ জন স্কলারকে নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে ১০০টি ইঞ্জিনিয়রিং সাবজেক্টের জন্য আর ১০০টি নন-ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের জন্য। যেমন- স্নাতক ১৪০টি, স্নাতকোত্তর ৪০টি এবং এমফিল ও পিএইচডি’র জন্য ২০টি।

২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন’ অনুষ্ঠানে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপ’ নামের একটি স্কিমের ঘোষণা দেন। এই স্কিমের আওতায় আরও ৫০০ আসন বৃদ্ধি করা হয়। এ ছাড়া ‘লতা মঙ্গেশকর ডান্স অ্যান্ড মিউজিক স্কলারশিপ’ নামেও একটি স্কিম আছে আইসিসিআর–এর অধীন। এ

সুযোগ-সুবিধাঃ- 
*সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান করবে।
*আবেদন করার জন্য কোনো ফি লাগবে না। 
*হোস্টেল এবং খাবার খরচ।
*প্রতি মাসে উপবৃত্তি হিসেবে স্নাতকে ১৮ হাজার রুপি, স্নাতকোত্তরে ২০ হাজার রুপি ও পিএইচডির জন্য ২২ হাজার রুপি প্রদান করবে। 
*যাওয়া-আসার বিমান ভাড়া প্রদান করবে।
*এ ছাড়া চিকিৎসাসহ অন্য সুবিধা পাওয়া যাবে।

যোগ্যতাসমূহঃ- 
মেডিসিন, প্যারামেডিকেল, ফ্যাশন, আইন ইত্যাদি সংক্রান্ত কোর্স বাদে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যাবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নের জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং পিএইচডির জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৪৫। 

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইংরেজির দক্ষতা প্রমাণের জন্য ৫০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে। টোয়েফল, আইইএলটিএসের স্কোরও জমা দিতে পারেন। যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়।

আইইএলটিএস ছাড়াই জার্মানির যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ

প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ- 
* ছবি।
* সকল একাডেমিক মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট।
* পাসপোর্ট।
* এন আই ডি বা জন্ম সনদের ইংরেজি কপি।
* ফিজিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট।

আরও পড়ুন: স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করুন থাইল্যান্ডে, মাসে দেওয়া হবে ৩৬ হাজার টাকা

আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইংরেজিতে না থাকলে ইংরেজিতে অনুবাদ করে জমা দেওয়া যাবে। অনুবাদ ছাড়া কাগজপত্র গ্রহণ করা হবে না। আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ন্যূনতম ৫ লাখ ভারতীয় রুপি বা ৬ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলারের মেডিকেল বিমা করা বাধ্যতামূলক।

আবেদন প্রক্রিয়াঃ- 
অনলাইনে আবেদন করা যাবে।

আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন 


সর্বশেষ সংবাদ