হলের জানালায় স্বচ্ছ কাচ, বিব্রত ছাত্রীরা নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায়

কুবির শেখ হাসিনা হলের জানালায় স্বচ্ছ কাচ
কুবির শেখ হাসিনা হলের জানালায় স্বচ্ছ কাচ  © টিডিসি ফটো

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সদ্য উদ্বোধনকৃত শেখ হাসিনা হলের জানালায় ব্যবহার করা হয়েছে স্বচ্ছ কাচ। এ কারণে নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এমনকি বাইরের দৃষ্টি এড়াতে নেই পর্দা টাঙানোর কোনো ব্যবস্থাও। এ পরিস্থিতিতে বিব্রত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবাসিক হলটির দক্ষিণ পাশে রাস্তার বিপরীতে রয়েছে অসংখ্য দোকানপাট ও উঁচু ভবন। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিম কোনে রয়েছে শিক্ষক ডরমেটরি। ফলে কক্ষের ভেতরের সকিছু দেখা যায় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফাইজা মেহজাবিন বলেন, প্রশাসনের বোঝা উচিত ছিল এটা মেয়েদের হল। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পরিকল্পনা করা উচিত ছিল। পর্দার ব্যবস্থা করা হবে সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়টি বাদ দিয়ে হল কেন উদ্বোধন করল বুঝতে পারলাম না।

অর্থনীতি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষর্থী সাদিয়া আফরিন মোহনা বলেন, ‘যদি কালার থাই দেওয়া হতো তাহলে ভেতরের কিছু দেখা যেত না। নিজেরা যে পর্দা লাগাব, এটারও কোনো সুযোগ নেই। রাতে আলো জ্বালালে বাইরে থেকে সব দেখা যাবে। তাহলে প্রাইভেসি কোথায় থাকল?’

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তদারক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেভাবে আমি কাজ শেষ করেছি। এখানে আমার করার কিছু ছিল না।’

আরো পড়ুন: প্রক্সিতে শাস্তি পাওয়া সেই ছাত্রই রাবিতে প্রথম

প্রকৌশল দপ্তরের প্রকৌশলী এস. এম শহীদুল হাসান বলেন, টেন্ডারে যেভাবে প্ল্যান ছিল সেভাবে কাজ করা হয়েছে। এ সমস্যা থেকে ওভারকাম করার জন্য প্রস্টেট পেপার লাগানোর জন্য কত টাকা খরচ হবে, উপাচার্য স্যার বাজেট করতে বলছেন।

শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহদেুর রহমান বলেন, ‘হস্তান্তর কমিটি এটা কীভাবে বুঝে নিয়েছে আমি জানি না। আমি জয়েন করার পর উপাচার্য স্যার যখন হল দেখতে আসেন, তখন ব্যাপারটা তিনি দেখেছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই প্রকৌশলীদের জানিয়েছেন। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে আবার কথা বলব।’

হস্তান্তর কমিটির আহ্বায়ক কাজী ওমর সদ্দিকী বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে বিল্ডিংয়ের কাজ সঠিক সময়ে শেষ করছে কিনা এবং সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা এসব দেখা। এটার গুণগত মান ঠিক আছে কিনা এটা আমার দেখার বিষয় না।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমি এটা দ্রুত সমাধান করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। প্রস্টেট পেপার লাগাতে কত দিন সময় লাগবে জিজ্ঞেস করলে বলেন, এটা যদি আজকে পারা যায় তাহলে আজকের ভেতরেই করে দেবে। আশা করি বেশি দিন লাগবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ