গুচ্ছে সেকেন্ড টাইম থাকছে!

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  © টিডিসি ফটো

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ২০২১-২০২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নিতে যাচ্ছে গুচ্ছ কমিটি। শীঘ্রই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সভা করবেন গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সেখানে বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবে।

বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে আন্দোলন করছে ২০২০ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। তাদের আরও একবার ভর্তি পরীক্ষায় সুযোগ দেয়ার পক্ষে অধিকাংশ উপাচার্য। সেই সঙ্গে ইমপ্রুভমেন্ট দিয়ে যারা এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছেন তারাও সুযোগ পাবেন।

২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বন্ধ করে দেয়। ভর্তি পরীক্ষায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, জালিয়াতি ঠেকানো এবং আসন খালি থাকার প্রবণতা কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয়টি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরপর দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বন্ধ করে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের আরেকবার সুযোগ দেয়া যায় কিনা সেটি কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- মাধ্যমিকেও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শিগগিরই: শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্বের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার ভর্তির সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই সুযোগ চালু রাখলে ক্ষতির কিছু দেখি না। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেই সুযোগ চালু রাখবে। ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় না। বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনভাবে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগের দাবিতে বড় জমায়েত করে ভর্তিচ্ছুরা। তারা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আরও পড়ুন- মাথার হাড় প্রতিস্থাপনের জন্য হাসপাতালে চমেকের আকিব

শিক্ষার্থীদের দাবি, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে সরকার এইচএসসিতে অটোপাস দেয়। যার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছুর সংখ্যা বাড়ে কয়েক গুণ। সেই অনুপাতে বাড়েনি উচ্চ শিক্ষার আসন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সিলেকশন পদ্ধতি চালু করে ভর্তির আগেই অনেক শিক্ষার্থীকে ছেটে ফেলে। এতে অনেকেরই উচ্চ শিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায়। আবার অনেকেই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। তারা দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ চান। একই সঙ্গে ভর্তির আগে সিলেকশন করার পদ্ধতিও বাতিল চান তারা।

গুচ্ছে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা রাখার পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ দেয়া যেতে পারে। এতে দ্বিমত নেই। তবে বয়স বিবেচনায় সেটি যেন তৃতীয়বার-চতুর্থবার দেয়া না হয়।

শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিক উল্লাহ খান বলেন, আমাদের সন্তানেরা এবং আমাদের ঘনিষ্ট জনের সন্তানেরা অতীতে, বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে চায়। আমি অবশ্যই চাইবো ছেলে-মেয়েদের যেন দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হয়।


সর্বশেষ সংবাদ