হল খোলাসহ শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

হল খোলাসহ শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
হল খোলাসহ শিক্ষাকার্যক্রম চালু রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান   © টিডিসি ফটো

হল খোলা রেখে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার দাবিতে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টা হতে ফেস্টুন হাতে সেখানে অবস্থান নেয় তারা।

এসময় তাদের হাতে ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস পরীক্ষা নিতে হবে, হল খোলা চাই, শিক্ষার চেয়ে বড় সুস্থতা আর নাই, অশিক্ষিত সুস্থতার চেয়ে শিক্ষা নিয়ে মরতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে করোনার টিকা নিশ্চিত করতে হবে’ ইত্যাদি ফেস্টুন দেখা যায়।

আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়া উচিত: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রেখে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। আজ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আমাদেরও নিতে হবে?। এমন পরিস্থিতিতে হল খোলা রেখে অনলাইনে ক্লাসের পাশাপাশি সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া চলমান পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা এবং আবাসিক হলসূমহে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

তারা বলেন, শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি আর চাই না। আমাদের জীবন থেকে প্রায় দেড় বছর চলে গেছে। যেকোনো মূল্যে শিক্ষা কর্যক্রম চালু রাখতে হবে। এবার ক্যাম্পাস বন্ধ হলে অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী ঝরে যাবে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে অনলাইন ও অফলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।

এছাড়া শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি প্রস্তাবনা করেন। তদের প্রস্তাবনা সমূহ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ না করে ক্যাম্পাসে লকডাউন দেওয়া এবং এর আওতায় ক্যাম্পাস সব ধরনের গণ জমায়েত, সর্ব-সাধারণের অবাধ বিচরণ নিষিদ্ধ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করা। প্রয়োজনে সাময়িক সময়ের জন্য অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলমান পরীক্ষা গ্রহণ চালু রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: পরীক্ষা শুরুর প্রথম মিনিটেই কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র নেন কর্মচারী

ক্যাম্পাসে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা এবং করোনা আক্রান্তদের জন্য ইবি মেডিক্যালে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও প্রত্যেক আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা। সব শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা। প্রয়োজনে বুস্টার ডোজের ব্যবস্থা করা। এছাড়া সশরীরে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্বাস্থবিধি মানার ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করা এবং প্রয়োজনে শিফট করে শিক্ষার্থী সংখ্যা কমানো।

এদিকে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ