প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবি নতুন ক্যাম্পাসের নকশা উপস্থাপন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০১৯, ০৪:১৩ PM , আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৯, ০৪:২৬ PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের নকশা উপস্থাপন করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জে এই নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হবে। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এর নকশার ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করা হয়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থাপনা মনোযোগ সহকারে দেখেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। জলাধার, খেলার মাঠ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাসহ সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নতুন ক্যাম্পাস স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের জন্য এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। গত বছরের অক্টোবরে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয়। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক-এর ১৪৬তম সভা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়নে এক হাজার ৯২০ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন করেন। সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে বর্তমান সরকার ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার তেঘরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমদি মৌজায় প্রায় ২০০ একর ভূমির ওপর নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
মাস্টারপ্লান অনুযায়ী নতুন ক্যাম্পাসে একাধিক একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হল, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা, চিকিৎসা কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, খেলার মাঠ, সুইমিং পুল, মসজিদ এবং পরিবহন ও আধুনিক বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন হওয়ায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান সংকুলান দূর হবে। গত ৩ অক্টোবর ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে এ জায়গার চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে গত বছরের অক্টোবর থেকে কেরানীগঞ্জের এ জায়গার জমি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, রাস্তা, সেতু, ড্রেনেজ, লেক নির্মাণ, বিদ্যুৎ, গ্যাস সংযোগের কাজ চলছে। সাথে সাথে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো একাডেমিক ভবন, হল, টিচার্স বিল্ডিং, টিএসসি নির্মাণের কাজ শুরু হবে।