ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে প্রতিবাদী স্মারকলিপি দেবে ইনকিলাব মঞ্চ

  © সংগৃহীত

ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর  প্রতিবাদী স্মারকলিপি দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত  এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেয় সংগঠনটির মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী। 

৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস দিবস উপলক্ষে ভারতের বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও আজমীর শরীফ দখলের পায়তারার প্রতিবাদে এমন কর্মসূচী পালন করবে সংগঠনটি।মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদী। বিকাল সাড়ে ৩ টায় গুলশান ২ সার্কেল থেকে রেলি নিয়ে ভারতীয় এম্বাসিতে যাত্রা শেষে এই স্মারকলিলিপি দেওয়া হবে।

এসময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিক ওসমান বিন হাদী বলেন, ১৯৪৭ সময়ের আইন অনুযায়ী ভারতে কোন উপাসনা কেন্দ্র ধ্বংস করা যাবে না উল্লেখ ছিল। কিন্তু এখন ভারত সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ধ্বংস করছে। 

আজমির লরীফ দখলের একটি পায়তারা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে ইতোমধ্যে একটি মামলা করা হয়েছে যে একসময় সেখানে  নাকি শিব মন্দির ছিল। আমারে স্পষ্ট হয় বলতে চাই আপনারা যদি এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ না আনেন তাহলে কঠিন জবাব দেওয়া হবে।

মুখপাত্র বলেন, যেই ভারত প্রকাশ্যে গো-মাংশ খাওয়ার অপরাধে মুসলমানকে পিটিয়ে মেরে ফেলে সেই ভারতের কাছ থেকে আমাদের শিখতে হবে না সংখ্যালঘুদের অধিকার কীভাবে রক্ষা করতে হয়। ভারতের উচিত তার নিজের সংখ্যালঘুদের কে নিয়ে ভাবা। 

ভারতের সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারত মুসলমানদের ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছে, ভারতের একটি ক্ষুদ্র উপজাতি পাঙালদের উপরও গণহত্যা চালিয়েছে। ভারতের মণিপুরে কুকি চিনদের ওপরে গণহত্যা চালিয়েছে। ভারতে একমাত্র দেশ যে দেশে সংখ্যালঘু নারীদেরকে উলঙ্গ করে সারা শহর ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়ানো হয়েছে। এরমধ্যে একজন নারীকে গণধর্ষনও করা হয়েছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই নারীর বাবা এবং ভাইকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

ভারতের এখন উচিত জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিয়ে যারা এই বিপ্লবে বিরোধিতা করেছিল সেই সব অপরাধীদেরকে বাংলাদেশের ফেরত দেওয়া, যোগ করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ