শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির সেমিনার

শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির সেমিনার
শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির সেমিনার  © সৌজন্যে প্রাপ্ত

শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্সের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এক সেমিনারের আয়োজন করেছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘ফ্রম শেপ টু শোর – এক্সপান্ডিং ক্যারিয়ার হরিজনস ফর মেরিন প্রফেশনালস-From Ship to Shore – Expanding Career Horizons for Marine Professionals’ শীর্ষক একটি বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করে উচ্চশিক্ষালয়টি।

সেমিনারটির নেতৃত্ব দেন বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ক্যাপ্টেন মো. নাসির উদ্দিন। তিনি ভবিষ্যৎ মেরিটাইম পেশাজীবীদের জন্য বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই খাতের বিশাল সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারে বক্তারা সিইউবিকে ধন্যবাদ জানান শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানের জন্য। এ খাতে চাহিদা পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়টি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম চালু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক হবে।

ক্যাপ্টেন একেএম গোলাম কিবরিয়া মেরিটাইম খাতে অসংখ্য সুযোগের কথা তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা দেন।

সেমিনারের আরেক বক্তা ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বিশ্বব্যাপী মেরিটাইম খাতের প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বিশাল বাজার ও বাংলাদেশের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই খাতে ৯৫% শোর-বেসড পজিশন এখনও মেরিনারদের জন্য উন্মুক্ত, যা দক্ষ পেশাজীবীদের জন্য বিশাল সুযোগের দরজা খুলে দিচ্ছে।

ক্যাপ্টেন এ কে এম গোলাম কিবরিয়া মেরিন বিশেষজ্ঞ হওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং উল্লেখ করেন যে, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মেরিন পেশাজীবীদের জন্য সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। শিপিং থেকে মেরিটাইমের দিকে অগ্রসর হতে আমাদের পরিধি আরও বিস্তৃত করতে হবে। শিপ চার্টারিং, ব্রোকারিং, তৃতীয় পক্ষের শিপ ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি ক্ষেত্র একজন মেরিনারের জন্য নতুন পেশাগত সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।

বাংলাদেশের মেরিন সম্প্রদায় আশা করছে যে, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি মেরিটাইম এক্সিলেন্সের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

বাংলাদেশ মেরিটাইম ল’ সোসাইটির সভাপতি ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন আবদুল কাদির শোর ক্যারিয়ারের জন্য মেরিনারদের উপযুক্ত প্রস্তুতির ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, শোর জবে যাওয়ার আগে মেরিনারদের সঠিক পেশাগত ডিগ্রি নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে এবং সামনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ হতে হবে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ মেরিন এবং মেরিটাইম পেশায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুতির জন্য একটি সেরা পছন্দ হতে পারে। মেরিটাইমের আইনি বিষয়, ইন্স্যুরেন্স, ক্লেইম, আরবিট্রেশন ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের জন্য অমূল্য সহায়ক হবে।

সেমিনারের শুরুতে সিইউবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ এস এম জি ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়টির মিশন ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্সে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এছাড়াও ট্রেজারার অধ্যাপক অধ্যাপক এ এস এম সিরাজুল হক প্রাচীন মেরিটাইম ইতিহাস থেকে বর্তমান প্রযুক্তিগত উন্নতির দিকে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে ক্যাপ্টেন মো. নাসির উদ্দিন সেমিনারের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান।


সর্বশেষ সংবাদ