জবির মসজিদে ঘুমন্ত ছাত্রী: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইমামকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৪, ০২:১১ PM , আপডেট: ৩১ মে ২০২৪, ০২:২৫ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে এশার নামাজের পর ছাত্রী ঘুমানোর আলোচিত ঘটনায় মসজিদের ইমাম মো. ছালাহ উদ্দিনকে দায়িত্ব থেকে মৌখিকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তবে ইমাম সম্পর্কে সেই ছাত্রী বলেছেন, মসজিদের ইমামের কোনো দোষ নেই। ইমাম খুব ভালো মানুষ, তিনি মসজিদে প্রবেশই করেনি। এরপর ইমামকে অব্যাহতির দেওয়ার ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইমাম মো. ছালাহ্ উদ্দীনকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩১ মে) তিনি জুমার নামাজে ইমামতি করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।
তবে এই ঘটনাকে মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর সমালোচনা শুরু করেন। এর প্রতিবাদে ৩০ এপ্রিল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ মে রাতে শারীরিক অসুস্থতা থাকায় ভুলবশত এশার নামাজ আদায় শেষে ওই ছাত্রী জবির কেন্দ্রীয় মসজিদের মেয়েদের রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে মসজিদের পাহারাদার তালা লাগাতে গেলে ওই মেয়েকে দেখতে পান। এসময় মসজিদের ওই পাহারাদারের স্ত্রী তাকে বের করে নিয়ে আসেন। তবে ইমাম বা পাহারাদার কেউই ভেতরে প্রবেশ করেননি। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ইমামকে অব্যাহতি দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে শুক্রবার (৩১ মে ২০২৪) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মধ্যরাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে তাকে ইমামতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম খতিবকে অপসারণ করা হয়েছে বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে, যা অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ১৫ মে রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থীর অবস্থানের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে মসজিদের ইমামসহ (খতিব) সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহকে সদস্য সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।