গুচ্ছের বিশেষ পর্যায়: প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চায়ন করলেন ১৫৩০ জন

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী   © ফাইল ফটো

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ পর্যায়ে প্রাথমিক ভাবে ভর্তি নিশ্চায়ন করেছেন এক হাজার ৫৩০ শিক্ষার্থী। আজ রোববার থেকে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, গুচ্ছের চার ধাপে ভর্তি শেষ হলেও ২ হাজার ২২০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এই আসনগুলোতে বিশেষ পর্যায়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। এই পর্যায়ে অনলাইনে ভর্তির সম্মতি জানানো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ হাজার ৫৩০ জন প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন। ফলে এখনো ৬৯০টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করা শিক্ষার্থীরা আজ রোববার এবং আগামীকাল সোমবার চূড়ান্ত ভর্তির সুযোগ পাবেন। এই প্রক্রিয়া শেষে কীভাবে অবশিষ্ট আসনগুলো পূরণ করা হবে সে বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করেছেন। আগামীকাল আমাদের একটি সভা রয়েছে। এই সভায় পরবর্তী ধাপের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে মাইগ্রেশন বন্ধের কারণে বেশি নম্বর পেয়েও অনেক শিক্ষার্থী ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো সাবজেক্ট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে আন্তঃবিশ্ববিদ্যাল মাইগ্রেশন চালু করে বেশি নম্বরধারীদের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি বলছে, ভর্তিচ্ছুদের পছন্দক্রম এবং মেধাক্রমের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া একাধিকবার আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্ট মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মাইগ্রেশনের ফলে খারাপ সাবজেক্ট পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে তুলনামূলক ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পরও অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন অন রেখেছিলেন। যার ফলে অনেকে নিজ বাড়ি থেকে দূরেএ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা তুলনামূলক কম শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়।পেয়েছেন। এর দায় সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদেরই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে  বলেন, অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন  বন্ধ কর হয়েছে। ফাঁকা আসন পূরণ এর মধ্যে অন্যতম। মাইগ্রেশন চালু রাখলে ফাঁকা আসনগুলো কখনোই পূরণ হবে না।

তিনি আরো বলেন, আমরা আর কতগুলো মাইগ্রেশন দেব? অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। সামনে তাদের মিডটার্ম পরীক্ষা। দ্রুত আসন পূরণ করে ফাঁকা আসনগুলো পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য।


সর্বশেষ সংবাদ