৮ দিন ধরে ইডেন কলেজের হলে হলে পানির জন্য হাহাকার
- আইরিন আক্তার জিম্মা
- প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ০১:৪১ AM , আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩, ০২:৪১ PM
ইডেন মহিলা কলেজের হলে তীব্র গরমের মধ্যে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে এসেছে পানি সংকট। লোডশেডিংয়ের মধ্যে পানি সংকটে হাহাকার পড়ে গেছে আবাসিক হলের ছাত্রীদের। শুরুতে এ সংকট জেবুন্নেছা হলে থাকলেও এখন আয়েশা সিদ্দিকা হল ও হাসনা হলেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
গত ২৯ মে থেকে আবাসিক হলের ছাত্রীরা লোডশেডিংয়ের সঙ্গে খাবার পানি ও ব্যবহারের পানি সংকটে পড়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। খুব শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হবে।
আবাসিক হলের ভুক্তভোগী ছাত্রীরা জানিয়েছেন, যেভাবে তীব্র গরম পড়েছে; এই সময়ে পানির চাহিদা ও দরকার আরও বেশি। কিন্তু কলেজের কোনো হলেই এখন পর্যাপ্ত পানি নেই। এতে আমাদের তীব্র সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এবার ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ কমিটির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার
ছাত্রীরা বলেন, কোনো দিন রাতে ২ বার এবং ভোর বেলাতে বিদ্যুৎ থাকছে না। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা তাদের। প্রায় ৮ দিন ধরেই এভাবে চলছে হল। জানি না আরো কতদিন এই সমস্যা থাকবে। কর্তৃপক্ষের উচিৎ খুব শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান করা। তা না হলে হলের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর জীবন ধারণ এই হলগুলোতে সম্ভব হবে না।
নুসরাত নামে এক ছাত্রী বলেন, সকাল, দুপুর ও বিকালের দিকে কিছু সময়ের জন্য পানি থাকলেও সারারাত পানি থাকে না। পানি যখন দেয়া হয় তখন লম্বা সিরিয়ালে পড়তে হয়। পানি দিলে বালতি ভরে রাখতে হয়, তা না হলে নিচ থেকে পানি নিয়ে এসে রাখতে হয়। এই সমস্যায় হলে থাকা কষ্টকর হয়ে গেছে।
জান্নাত নামের এক শিক্ষার্থী বলে, অনেক ডিপার্টমেন্টের টেস্ট পরীক্ষা, ইনকোর্স পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার হলে গিয়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমের মধ্যে আমাদের পরীক্ষা দেয়া লাগে। তাছাড়া রাতে পানি থাকে না। বিদ্যুৎ ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে না। এখন পানি সংকটে দৈনন্দিন জরুরি কাজও ঠিকভাবে করা যাচ্ছে না|
জানতে চাইলে কলেজটির হল সুপাররা জানিয়েছেন, লোডশেডিং সারা বাংলাদেশেই এখন একটি সমস্যা। আর পানি সংকটের কারণ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। আমরা খুব শিগগিরই এই সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করবো। বিদ্যুতের কারণেও পানির সমস্যা হচ্ছে।
ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বলেন, এই গরমের মধ্যে ছাত্রীরা পানির সংকটে রয়েছে, এটা আসলে কোনোভাবে কাম্য নয়। এমন পরিস্থিতির জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। আসলে সব হলে যেভাবে ঢালাওভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে, ব্যাপারটা এমন হয়। কিছু হলে আমি নিজেই খোঁজখবর নিয়েছি, তাদের পানির খুব একটা সমস্যা নেই।
যেখানে সমস্যা হচ্ছে, সেটি সমাধানে কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক সুপ্রিয়া বলেন, কলেজের হলগুলোতে মূলত দুইটি ব্লক দিয়ে পানি সাপ্লাই হয়। এখানের একটি ব্লক অকেজো হয়ে যাওয়ায় কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে । যেদিন থেকে এ সংকট দেখা দেয়, সেদিনই আমরা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। যে ব্লকে সমস্যা রয়েছে সেটি সমাধানে এখনো কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া নতুন আরও একটি ব্লক যুক্ত করার ব্যাপারেও কথা হচ্ছে।