ভিসি কী, ভিসি কে কী স্যার বলা যায় না?—সহকারী প্রক্টর

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুল রহমান ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী
সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুল রহমান ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী  © সংগৃহীত

ঢাবির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের আচরণে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানা রকম হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনে অবস্থানরত এক ছাত্রের সাথে রুঢ় আচরণ করতে দেখা যায় তাকে। 

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক লাইভ ভিডিও তে দেখা যায় অধ্যাপক মাহবুবুল রহমান এক ছাত্রকে বলছেন, ' এই ব্যাডা, তোর কথায় আনবে? বেয়াদবির একটা সীমা আছে। ভিসি কি? ভিসি স্যার বল!'
এরপর দেখা যায় তিনি ওই ছাত্রের আইডি কার্ড সীজ করতে বলেন। ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বলতে দেখা যায় 'ভিসি কি? প্রক্টর কি? ভিসি কে কি স্যার বলা যায় না?'

তখন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে বলেন, তিনি এখানে গণ্ডগোল করতে এসেছেন। এরপর লাইভটি শেষ হয়ে যায়।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক জটিলতায় সৃষ্ট নানা রকম হয়রানি বন্ধের প্রতিবাদে ৮ দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচির পর এবার আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহ।

আরও পড়ুনঃ কিছুক্ষণ পর পর জ্ঞান হারাচ্ছেন হাসনাত, দেখতে আসেনি ঢাবি প্রশাসন

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাসনাতের এই কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে, গণস্বাক্ষরের কাগজ, জরিপ এবং নানা অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে অনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি। গতকাল রাতে তার শারীরিক অবস্থার ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটছে।

এ খবরটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে আরও অনেক ছাত্র-ছাত্রী সেখানে জড়ো হয়েছেন বলে জানা যায়। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচীতে এসে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুল রহমানের এরূপ রুঢ় আচরণে নিন্দা জানাচ্ছেন অনেকেই। ফেসবুক লাইভের কমেন্টে তার আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে নানারকম মন্তব্য করছেন ছাত্ররা। 


সর্বশেষ সংবাদ