চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ঘুষ নিতেন পিএসসির গাড়িচালক, দেড় বছর আগে বরখাস্ত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৯ PM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:০৩ PM
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) গাড়িচালক আতাউর রহমানের ব্যাংক হিসাবে চাকরি দেওয়ার নাম করে সাড়ে পাঁচ বছরে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকার বেশি জমা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। যদিও আর্থিক দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে ৫ এপ্রিল ২০২২ সালে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করে পিএসসি। তবে সম্প্রতি তার আর্থিক দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমে আসে।
গাড়িচালক আতাউর রহমানের চাকরি থেকে অপসারণের বিজ্ঞপ্তি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কাছে এসেছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাকে আমরা সেই সময় বরখাস্ত করি। পিএসসিতে দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের গাড়ীচালক জনাব মোঃ আতাউর রহমান-এর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের বাসিন্দা জনাব সলিল বরণ দাশ-এর ভাই জনাব সুব্রত কুমার দাশ-কে চাকরি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসে তার নিকট হতে ১৩.১১.২০১৭ তারিখে ৯ (নয়) লক্ষ টাকা, ১৪.১১.২০১৭ তারিখে ১ (এক) লক্ষ টাকা ও ১৯.০৩.২০১৮ তারিখে ৪ (চার) লক্ষ টাকাসহ মোট ১৪ (চৌদ্দ) লক্ষ টাকা গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া যায়; এবং যেহেতু, তার এধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ' ও 'দুর্নীতিপরায়ণ'-এর পর্যায়ভুক্ত হওয়ায় তাকে ০৯.০৩.২০২১ তারিখের ৩ নম্বর অফিস আদেশের মাধ্যমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, ৩১.০৩.২০২১ তারিখের ৫৭ নম্বর স্মারকে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (মামলা নম্বর ০১/২০২১) রুজু করে অভিযোগনামা ও অভিযোগবিবরণী প্রস্তুত করে; উক্ত অভিযোগনামা ও অভিযোগবিবরণীর বিষয়ে ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়; এবং যেহেতু, তিনি ১০.০৬.২০১১ তারিখে লিখিত জবাব দাখিল করেন, লিখিত জবাব সন্তোষজনক নয় মর্মে বিবেচিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৭(২)(ঘ) অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বিভাগীয় মামলাটি তদন্তের জন্য অত্র কমিশন সচিবালয়ের ১৬.০৬.২০২১ তারিখের ৭৩ নম্বর স্মারকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়, তদন্ত কর্মকর্তা কর্তৃক ১৩.০২.২০২২ তারিখের ১১৯ নম্বর স্মারকে মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ' ও 'দুর্নীতিপরায়ণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে মর্মে মতামত প্রদান করা হয়; এবং যেহেতু, তদন্ত কর্মকর্তার মতামতের ভিত্তিতে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৭(৯) অনুযায়ী তাকে কেন গুরুদণ্ড আরোপ করা হবে না ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে উহার লিখিত জবাব দাখিল করার জন্য দ্বিতীয়বার নির্দেশ প্রদান করা হলে তিনি ০৮-০৩-২০২২ তারিখে ২য় কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দাখিল করেন, যা সন্তোষজনক নয় মর্মে বিবেচিত হয়।
আরো উল্লেখ করা হয়, যেহেতু, তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলার অভিযোগনামা, অভিযোগ বিবরণী, ১ম ও ২য় কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রদত্ত জবাব এবং তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় আনীত ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতিপরায়ণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে গুরুদণ্ড প্রদান সমীচীন মর্মে বিবেচিত হয়; সেহেতু, বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন সচিবালয়ের গাড়ীচালক জনাব মোঃ আতাউর রহমান-কে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩(ঘ) অনুসারে যথাক্রমে ‘অসদাচরণ' ও ‘দুর্নীতিপরায়ণ’-এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে একই বিধিমালার বিধি ৪(৩)(গ) অনুযায়ী “চাকুরী হইতে অপসারণ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।