৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে যা জানাল পিএসসি
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০৪ PM , আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩২ PM
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের কাজ প্রায় শেষ করেছেন দ্বিতীয় পরীক্ষকেরা। এখন প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান যাচাই করা হবে। দুই পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান ২০ শতাংশের বেশি হলে খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যাবে। তৃতীয় পরীক্ষকের খাতা মূল্যায়ন শেষে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) একাধিক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্ষেত্রে সব পরীক্ষককে ১০০টি করে খাতা মূল্যায়নের জন্য দেওয়া হয়েছিল। খাতা দেখার জন্য তাদের ১৫ দিন করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরীক্ষকেরা খাতা দেখা শেষ করে তা পিএসসিতে জমা দিতে শুরু করেছেন। এখন দুই পরীক্ষকের নম্বরের ব্যবধান যাচাই করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডারে পছন্দক্রম শুরু হতে পারে এ সপ্তাহে
পিএসসি’র শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৪১তম বিসিএসের প্রায় ১ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এছাড়া ৪৩তম বিসিএসের ১০ হাজার খাতা তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে গেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতাও তৃতীয় পরীক্ষকের কাছে যেতে পারে। তবে এবার হয়তো সংখ্যা অনেক কম হবে।’
ওই কর্মকর্তা অরাও জানান, ৪৪তম বিসিএসের খাতা মূল্যায়ন শেষ হলেও এখনই ফল প্রকাশ করা হবে না। ফল প্রকাশ করলে মৌখিক পরীক্ষার তারিখও জানাতে হবে। বিভিন্ন গ্রেডের ১১ হাজার নন-ক্যাডার প্রার্থীর ভাইভা শুরু হতে যাচ্ছে। এই ভাইভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হবে না। কাজেই নন-ক্যাডারের ভাইভা শেষ হওয়ার আগে ফল প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ৪১তম বিসিএস নন-ক্যাডার পদবঞ্চিতদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগের দাবি
এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষকের দেখা প্রায় শেষ। পরীক্ষকের খাতাও জমা দিয়েছেন। এখন প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের খাতার নম্বরের ব্যবধান যাচাই-বাছাই করা হবে। নম্বরের ব্যবধান বেশি না হলে দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে।’
২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪৪তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন শুরু হয়। আবেদনের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। পরে তা বাড়িয়ে ২ মার্চ নির্ধারণ করে পিএসসি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে আবেদনের সময় প্রায় এক মাস বাড়ানো হয়। এই বিসিএসে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন।
এরপর গত ২৭ মে মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ২৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে রেকর্ড করে পিএসসি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ১৫ হাজার ৭০৮ জন প্রার্থী পাস করেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এখন লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের পালা।
৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে ৮, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ৬, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে ৩, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেওয়া হবে।