দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা প্রত্যাহার ইউল্যাব কর্তৃপক্ষের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ AM , আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ PM
গ্রাফিতি আঁকার জন্য দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে জারি করা একটি ‘সতর্কতামূলক (শৃঙ্খলামূলক প্রবেশন)’ ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তাদের আঁকা গ্রাফিতি মুছে ফেলার কোনো পরিকল্পনাও কর্তৃপক্ষের নেই নেই বলেও জানানো হয়েছে। উপাচার্যের জারি করা এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইউল্যাবের নিজস্ব ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি অংকনের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি সামনে আসে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়টির জেনারেল এডুকেশন বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড থিওরির পরিচালক অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খানসহ ১১ জন শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি বিবৃতি দেন। এতে তারা অবিলম্বে ওই দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গ্রাফিতি অংকনের দায়ে গৃহীত শাস্তি নিঃশর্তে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ হয়ে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রাফিতিকে শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ধারণ করে আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান না করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং তার কাঙ্ক্ষিত মাধ্যম ও স্থান বিষয়ে আমাদের ভাবনা পুনঃপর্যালোচনার এবং প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আচরণ বিধি সংশোধনের দাবি রাখে।’
আরও পড়ুন: ১০ম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলনে রানারআপ ইউল্যাব
বিবৃতিদাতা শিক্ষকরা হলেন ১. সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক, জেনারেল এডুকেশন বিভাগ এবং পরিচালক, সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড থিওরি; ২. সুমন রহমান, অধ্যাপক, মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম; ৩. আজফার হোসেন, সামার ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক, ইংরেজি ও মানববিদ্যা বিভাগ; ৪. বেগম শারমিনুর নাহার, সিনিয়র প্রভাষক এবং বিভাগীয় প্রধান, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ; ৫. অলিউর রহমান সান, প্রভাষক, ইংরেজি ও মানববিদ্যা বিভাগ; ৬. লাবনী আক্তার, প্রভাষক, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ; ৭. কাব্য কৃত্তিকা, প্রভাষক এবং গবেষণা সহযোগী, সেন্টার ফর আর্কিওলজিকাল স্টাডিজ; ৮. সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন, সিনিয়র প্রভাষক, মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম; ৯. নুসরাত তাজকিয়া, প্রভাষক, ইংরেজি ও মানববিদ্যা বিভাগ; ১০. এ. এফ. এম. মনিরুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক, মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম ও ১১. আহমেদ আবিদ, সহকারী অধ্যাপক, জেনারেল এডুকেশন বিভাগ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্জের জারি করা বার্তায় বলা হয়, ‘আমাদের কিছু শিক্ষকের কাছ থেকে উদ্বেগের চিঠি আমরা পেয়েছি। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আমাদের ছাত্রদের বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য, আমরা দুই ছাত্রের উপর শাস্তিমূলক প্রবেশন প্রত্যাহার করছি।’