ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষ্যে মানারাত ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভা

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভা
মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভা   © টিডিসি ফটো

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের স্মৃতি-বিজড়িত ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭মার্চ ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসের সভা কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা, ইংরেজি, আরবি, হিন্দি ও ফারসি ভাষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের নির্বাচিত অংশ পাঠ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ও হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপি। সভায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমআইইউ ট্রাস্টি ও বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সদস্য ইসরাত জাহান নাসরিন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মারুফা আক্তার পপি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘আর আমার বুকের উপর গুলি চালাবার চেষ্টা করো না। সাড়ে সাত কোটি মানুষেরে দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ এর মাধ্যমে বাঙালির মাঝে তিনি যে গতির সঞ্চার করেছিলেন আজকে ছাত্র-ছাত্রীদের কর্তৃ পাঁচটি ভাষায়  বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণের চমৎকার উপস্থাপনাই বলে দেয় এ ভাষণ আমাদেরকে শুধু স্বাধীনতা ও মানচিত্রই এনে দেয়নি। বরং আজও এ ভাষণ বাঙালির তন্ত্রে তন্ত্রে ও রক্তে মিশে আছে এবং চলার পথে গতির সঞ্চার করে চলেছে।

তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু “আমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে” এই ভাষণের মাধ্যমে বাঙালির যে সামর্থ্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন তা আজও বিদ্যমান। এই সামর্থ্য নিয়ে আমাদেরকেও আগামীর বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে যেতে হবে।

‘একটি ভাষণ দিয়ে যে একটি দেশ স্বাধীন করা যায় এমন ঘটনা পৃথিবীর বুকে নেই’ উল্লেখ করে বিশেষ অতিথি ইসরাত জাহান নাসরিন বলেন, আমার মতে বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণই পৃথিবীর মধ্যে এক নম্বর ভাষণ। কারণ এই ভাষণের মাধ্যমে বাংলার সমস্ত মানুষকে এক করেছিলেন তিনি। যে ভাষণটি ছিল মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা।

‘জিয়াউর রহমানই বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাহলে পাঠক কী করে ঘোষক হয়? এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই না। এমনকি বঙ্গবন্ধু ও জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায়ও কেউ এ কথা বলেনি যে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক।

৭ই মার্চ বাঙালির ইতিহাসের একটি মাইল ফলক উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুছ ছবুর খান বলেন,  এটি অবিস্মরণীয় সত্য যে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ না হলে, আজকের বাংলাদেশ হতো না। তাঁর ওই ভাষণের ফলেই সমগ্র জাতি ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও দল নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল এবং দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে এই স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল।

জ্যেষ্ঠ সহকারী রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলামের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ড. নার্গিস সুলতানা চৌধুরি, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিকসের ডিন মো. মাহবুব আলম-সহ বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence