প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:১৯ AM , আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯ AM
গত মঙ্গলবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত “বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় স্ত্রীকে নিয়ে উপাচার্যের ভ্রমণ বিলাস” শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের দাবি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় স্ত্রীসহ বিদেশে ভ্রমণের অভিযোগটি সঠিক নয়। বছরের বড় একটি অংশ বিদেশে অবস্থানের অভিযোগটিও সঠিক নয়।
প্রফেসর ড. শাহজাহান খানের নিয়োগপত্রের (খ) নং শর্তে উল্লেখ রয়েছে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন-ভাতা প্রাপ্য হবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। সেই শর্ত মোতাবেক বোর্ড অব ট্রাস্টিজ উপাচার্যের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে স্যালারি প্যাকেজ নির্ধারণ করেন। স্যালারি প্যাকেজের একটি শর্ত রয়েছে যে, তিনি তার স্ত্রী সহ বছরে একবার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়াতে গমন করবেন। যথাযথ নিয়ম অনুসরন করে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও ইউজিসির অনুমোদন সাপেক্ষে পরিবার পরিজনের সাথে সাক্ষাৎ করতে ও মেডিকেল চেকআপের জন্য অস্ট্রেলিয়া গমন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী প্রাপ্ত ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটির পুরোটা ভোগ করেননি। সেই ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও বেশিরভাগ সময় বিদেশে অবস্থানের বিষয়ে অভিযোগ করার কোন সুযোগ নেই। উপরোক্ত মন্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও অনভিপ্রেত।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর ৩১ (৬) ধারা মোতাবেক বর্তমান ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম সাময়িকভাবে ভাইস চ্যান্সেলর এর দায়িত্ব পালন করছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সুচারুরুপে পরিচালিত হচ্ছে ও স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যঘাত ঘটছে এই কথাটিও সঠিক নয়।
“বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্যরা নিজেদের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে ড. শাহজাহান খানকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন” এই ব্যাপারে এইউবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য -
এইউবি এর উপাচার্য নিয়োগের জন্য বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর পক্ষ থেকে চ্যান্সেলর বরাবর ৩ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। উক্ত প্যানেলের মধ্যে হতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর কর্তৃক প্রফেসর ড. শাহজাহান খানকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এইউবি এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ প্রফেসর ড. শাহজাহান খানকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেননি। পত্রিকায় প্রকাশিত বক্তব্য অসত্য ও বানোয়াট।
অধ্যাপক শাজাহান খান ও বিওটির মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী তিনি বছরের দু’একবার বাংলাদেশে এসে শুধু একাডেমিক সনদে স্বাক্ষর করার তথ্যটিও মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ জনসংযোগ বিভাগ মনে করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সংবাদ মাধ্যমে এই ধরণের মিথ্যা তথ্য প্রদান করছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রতিবেদনটি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিভিন্ন সময় ইউজিসিতে জমা দেওয়া আবেদন, উপাচার্যের বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত চিঠিপত্র দেখে করা হয়েছে। উপাচার্যের স্ত্রীর বিমান ভাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে পরিশোধের ঘটনা নজিরবিহীন বলে জানিয়েছে ইউজিসি। প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বা প্রতিবেদকের নিজস্ব মতামতের ভিত্তিতে করা হয়নি।