ভারতের স্কুলে দুই শিক্ষকের মারামারি, ভয়ে পালালেন শিক্ষার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২২, ০৪:৩৩ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২২, ০৪:৪১ PM
ভারতের উত্তর-২৪ পরগনার দেগঙ্গের একটি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাজিতপুরের উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলে দুই শিক্ষকের এ মারামারির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (০৪ মার্চ) সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেগঙ্গার দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই স্কুলে। দুই শিক্ষকের মারামারিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা পালিয়ে যান।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনের জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ তাঁর সহকারী শিক্ষক কার্তিক পালকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। তার নাকে ঘুসি মারেন। ক্লাসরুমের মেঝেতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন ওই শিক্ষক। পরে স্থানীয়েরা ছুটে এসে আক্রান্ত ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর পর ওই শিক্ষককে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এর আগেও দেশটির নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও ভূগোলের শিক্ষকের মারামারির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। নদিয়ার পর এবার উত্তর-২৪ পরগনার দেগঙ্গে ঘটে মারামারির ঘটনা। প্রধান শিক্ষকের মারধরে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছটফট করতে থাকেন ওই সহকারী শিক্ষক।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সহিংসতাবিরোধী কনসার্টে মারামারি (ভিডিও)
মারধরের স্বীকার কার্তিক পাল গণিতের শিক্ষক ছিলেন বলে জানা গেছে। তার অভিযোগ, তিনি দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ। সেই অবস্থাতেই প্রতিদিন স্কুলে আসছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পান তিনি। এখন চিকিৎসার জন্য সেই টাকা দরকার। সেই পাওনা টাকা চাইতেই শুরু হয় ঝগড়া। তার পর তাঁকে মারধর করা হয়।
অন্যদিকে, প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলে এসে কিছুক্ষণ পরেই বাড়ি যেতে চান সহকারী ওই শিক্ষক। এ নিয়ে দু’-এক কথায় তাঁর গায়ে প্রথমে হাত তোলেন কার্তিক।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, দুই শিক্ষকের এই বিতণ্ডা প্রতিদিনের ঘটনা। কিন্তু শুক্রবার যেভাবে মারামারি হয়েছে, সেটা এই প্রথম। ওই শিক্ষকের নাক ফেটে যায়। রক্তে ক্লাসরুমের মেঝে ভিজে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল ছেড়ে ছুটে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। পরে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। অভিভাবকেরা তাঁর শাস্তির দাবি করেছেন।