দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদন

সামাজিক মাধ্যম নজরদারিতে বাংলাদেশের পথে হাটছে ভারত

দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট
দ্য ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট  © সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে ভারত বাংলাদেশের পথে হাটছে। লন্ডনভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সংবাদপত্র দ্য ইকোনোমিস্ট আজ শনিবার প্রকাশিত তাদের এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করেছে।

বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ঠিক সেদিনই ভারত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভিডিও-স্ট্রিমিং ও ডিজিটাল প্রকাশনার জন্য একটি নির্দেশনা জারি করে। তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০-এর ৮৭ ধারার উপধারা (১) ও উপধারায় (২) পরিবর্তন এনে শাস্তির মাত্রা বাড়ানো হয়েছে।  

ইকোনোমিস্ট বলছে, ভারতের এই নতুন আইনের ধারা মোতাবেক কাউকে পাকড়াও করার অবারিত সুযোগও রাখা হয়েছে। টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর অ্যাপ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারীরা কী পোস্ট করছেন তার দায়ভার সেসব মাধ্যমগুলোর ওপরই বেশি করে চাপানো হয়েছে।

এ ছাড়াও ভারতের নিউজ পোর্টালগুলো আর নেটফ্লিক্স যে কিছুটা বাড়তি স্বাধীনতা ভোগ করে আসছিল তাতেও লাগাম টেনে ধরা হয়েছে।

ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজক্লিকের সত্বাধিকারী ও সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থের কথাও বলা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত নিউজক্লিকের এই সম্পাদকের বাড়িতে সম্প্রতি তল্লাশি চালায় দেশটির পুলিশ। সাংবাদিক পুরকায়স্থকে সাড়ে চার ঘণ্টা তাকে গৃহবন্দি রেখে জরুরি মালামাল নিয়ে যায় পুলিশ।


সর্বশেষ সংবাদ