দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ PM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২২ PM
দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রেপ্তার হওয়া সদ্য সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টকে জানানো হয়েছে, কিম ইয়ং-হিউন গতকাল গভীর রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন তাকে প্রহরীদের একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
এর আগে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে সামরিক আইন জারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। রাতের আঁধারে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর নানা নাটকীয়তার মধ্যে সেটি প্রত্যাহার করা হলেও পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন পদত্যাগ করেন এবং একপর্যায়ে তাকে আটক করা হয়। তারপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে দেশকে সামরিক আইনের অধীন রাখার জন্য প্রেসিডেন্টের ব্যর্থ প্রচেষ্টার দায় স্বীকার তিনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
দক্ষিণ কোরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয়ের সংশোধনাগারের প্রধান শিন ইয়ং-হে আইন প্রণেতাদের বলেছেন, মঙ্গলবার রাতে আটক কেন্দ্রে আত্মহত্যার চেষ্টা করার সময় কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার করে।
এর আগে সামরিক আইন জারির পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মুখে গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেন কিম ইয়ং-হিউন। ওই সময় দায় স্বীকার করে কিম বলেন, সামরিক আইন সম্পর্কিত সব পদক্ষেপ তার কর্তৃত্বের অধীন পরিচালিত হয়েছিল। জনসাধারণের ‘উদ্বেগ ও বিভ্রান্তির’ জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণকালে প্রেসিডেন্ট আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন। অবশ্য পরে পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতা ও দেশটির সাধারণ জনগণের বিক্ষোভের মুখে সেটি প্রত্যাহারের কথা জানান। তবে এ নিয়ে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবি, ফৌজদারি তদন্ত শুরু
মূলত সামরিক আইনের ডিক্রি জারি এবং পরে সেটি প্রত্যাহারের পরও পদত্যাগের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলো তাকে অভিশংসনের একদফা চেষ্টাও চালিয়েছে। এরপরও পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউন। মূলত বিরোধিতা ও টানাপোড়েনের মধ্যেও তিনি এখনো ক্ষমতার মূল চাবিকাঠি ধরে রেখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।