১ বছর কমে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের বয়স

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা দেশটির নাগরিকদের বয়স গণনা পদ্ধতি সংশোধনের একটি বিলে অনুমোদন দিয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে জন্ম নেওয়ার পরপরই শিশুর বয়স ১ বছর ধরার নিয়মের ইতি ঘটবে। আর এতে দেশটির নাগরিকের বয়স এক বছর কমে যাবে। -খবর বিবিসির

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিলটি দেশটিতে বহুদিন ধরে ব্যবহৃত ‘কোরিয়ান বয়স গণনা’ পদ্ধতিকে বাতিল করে দেবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। ‘কোরিয়ান বয়স গণনা’ পদ্ধতিতে কারও কারও বয়স আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতির বয়সের তুলনায় ১ বা ২ বছর বেশি হতো।

আন্তর্জাতিকভাবে সদ্যজাত শিশুর বয়স শূন্য থেকে গণনা শুরু হয়, ওই শিশুর পরবর্তী জন্মদিনে তার বয়স হয় ১ বছর, তার পরবর্তী জন্মদিনে ২ বছর, এভাবে বাড়তে থাকে।

চলতি বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ইয়ুন সুক ইয়ল বয়স গণনা পদ্ধতি সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দেশটিতে আগামী জুন থেকে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে বয়স গণনার এ পদক্ষেপটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া চাকরির সুযোগ, বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার

ইয়ুনের সরকার বলছে, কোরিয়ান বয়স গণনা পদ্ধতি বাতিল হলে তা প্রশাসনিক ও চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্তি ঘোচাবে।

ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির ইউ সাং-বাম পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘সংশোধনের লক্ষ্য অপ্রয়োজনীয় আর্থ-সামাজিক খরচ কমানো। কারণ আইনি ও সামাজিক বিরোধের পাশাপাশি বয়স গণনার বিভিন্ন পদ্ধতির কারণে বিভ্রান্তি রয়েছে।’

‘কোরিয়ান বয়স গণনা’ পদ্ধতিটি কোরিয়ার একার নয়; চীন, জাপানসহ ওই অঞ্চলের অনেক দেশেই এক সময় এভাবে বয়স গণনার রীতি চালু ছিল। এতে কোনো একটি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জন্ম নেওয়া সব শিশুর বয়সই ১ বছর ধরা হয়, ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে নতুন বছরের জানুয়ারি এলেই বয়স হয়ে যেত ২।

এ প্রক্রিয়ায় ৩১ ডিসেম্বর কোনো শিশুর জন্ম হলে সেদিনই তার বয়স ধরা হতো ১ বছর, পরদিন নতুন বছর হওয়ায় যুক্ত হত আরও ১ বছর। এর ফলে কোরিয়ান বয়স গণনায় জন্মের মাত্র ২দিনের মাথাতেই শিশুটিকে ২ বছর বয়সী হিসেবে গণ্য করতে হতো।


সর্বশেষ সংবাদ