সেসিপের চূড়ান্ত সুপারিশপত্রের দাবিতে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও লোগো
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান ও লোগো  © ফাইল ছবি

দ্রুত সময়ের মধ্যে সেসিপ প্রকল্পে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত ৬৬৪ শিক্ষকের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়ার দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এনটিআরসিএর কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সেসিপ প্রকল্পে প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের পক্ষে মো. হাফিজুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপিতে প্রার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বিক নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আধুনিক ও মান সম্মত শিক্ষা প্রদানে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ সকল মহলে ব্যাপক সমাদৃত ও প্রশংসিত হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৭তম নিবন্ধনের নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুমতি পায়নি এনটিআরসিএ

তারা বলেন, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগের ৩য় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩৮ হাজার শিক্ষকের চুড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সেসিপ প্রকল্পে ৬৬৪ জন শিক্ষকের চূড়ান্ত নিয়োগ না হওয়ার কারণে বেকার, অসহায় এসব প্রার্থীরা চরম মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অনিশ্চয়তা ও হতাশায় তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

স্মারকলিপিতে তারা বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। প্রিলি, রিটেন ও ভাইবা পাশ করে চূড়ান্ত নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিকভাবে প্রতিনিয়ত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এদিকে সারাদেশে সেসিপ প্রকল্পের আওতাভুক্ত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক পদ শূন্য। যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সেসিপ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল; শূন্যপদে যথাসময়ে শিক্ষক নিয়োগ করতে না পারায় সেই উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ঠিক রাখা, কার্যকরী পাঠদান ও ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করার জন্য সেসিপ প্রকল্পে আওতাভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ অত্যন্ত জরুরী।

আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি হতে পারে মার্চের শেষ দিকে: চেয়ারম্যান

স্মাকলিপিতে তারা আরও জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের স্বাভাবিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও দক্ষ শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত পাঠদান নিশ্চিত করতে সেসিপ প্রকল্পে ৬৬৪ জন শিক্ষকের চূড়ান্ত যোগদান জরুরী। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ৬৬৪ জন শিক্ষকের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ