সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই: প্রতিমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৩:০৪ PM , আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৩:০৪ PM
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজট থাকলেও এখন সেটি আর নেই। যার কারণে শিক্ষার্থীরা ২৩ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে স্নাতকোত্তর শেষ করে ফেলেন। চাকরির জন্য তারা ছয় থেকে সাত বছর সময় পান। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
সংসদে আজকের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য হাবিব মিল্লাত চাকরিতে প্রবেশে বয়স কেন বাড়ানো হবে না জানতে চান। সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩–২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকেন। সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ছয় থেকে সাত বছর সময় পেয়ে থাকেন। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে কোনো প্রার্থী চাকরির আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।
আরও পড়ুন- সরকারি মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছেন ১৮৮৫ ছেলে ও মেয়ে ২৩৪৫ জন
প্রতিমন্ত্রী জানান, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।