দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমর্থ হয়েছে। এর পরপরই পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের যে দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগেরও ওপরে ছিল। সেখান থেকে আমরা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। সেনসাস রিপোর্ট বের হলে এ হার আরও কমে আসতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এ দিনে আমি সবার কাছে আহ্বান জানাবো, নিজ পরিমণ্ডলে কিছু না কিছু উৎপাদন করুন। এ বার্তাটা শুধু আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য নয়, বরং আওয়ামী লীগের মাধ্যমে সমগ্র দেশের কাছে।

তিনি বলেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। যার যেখানে যতটুকু সুযোগ আছে এবং যে যেখানে যতটুকু পারেন উৎপাদন করবেন। অর্থাৎ কারও কাছে ভিক্ষা চেয়ে বাংলাদেশের মানুষ চলবে না। কারণ জাতির পিতা বলেছিলেন, ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না।

আরও পড়ুন: ক্ষুদা, দারিদ্র, অবহেলার সাথে লড়ে শিউলি ফুটলো ডাক্তার হয়ে

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের যে মাটি আছে এবং মানুষ আছে, তাই দিয়েই আমরা নিজেদের দেশকে গড়ে তুলবো। এটাই ছিল জাতির পিতার দেশ গড়ে তোলার সময়কার অঙ্গীকার। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে মাত্র দুই বছরের মধ্যেই দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে আমরা দেখিয়েছি, বাংলার মাটি অত্যন্ত উর্বর এবং আমরা চেষ্টা করলেই পারি। কিন্তু সেটাও আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গৃহহীনকে ঘর করে দেওয়ার পদক্ষেপ হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ঘর বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। আরও দেড় লাখ ঘর তৈরির পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ৫০ হাজার ঘর তৈরি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ডে পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে একটি ফান্ড করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে শিল্পপতি, ব্যবসায়ী এবং ব্যাংক মালিকরা অনেকে অনুদান দিয়েছেন। যেখান থেকে দুই কাঠা জমিসহ বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। এ কাজে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।


সর্বশেষ সংবাদ