দেশের বিরুদ্ধে চিঠিদাতাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ  © সংগৃহীত ছবি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণ থেকে দূরে সরে গেছে বুঝতে পেরে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। যে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিদেশিদের কাছে চিঠি লেখে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে দস্তখত দিয়ে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। সাহায্য মানুষের জন্য, জনগণের জন্য আসে, সাহায্য সরকারের জন্য আসে না।

আরও পড়ুন: ইভ্যালির লকারে মিলল ২৫৩০ টাকা

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা মহামারির সংক্রমণ প্রতিরোধে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেক্ষে করোনা প্রতিরোধসামগ্রী ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন। দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বক্তব্য দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম, গতকাল বিএনপির একটি সভা হয়েছে, সেই সভায় পলাতক আসামি তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন। হাইকোর্টের একটি আদেশ আছে, তারেক রহমানের ব্যাপারে কোনো সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। কিন্তু আমি গণমাধ্যমে সেই সংবাদ দেখলাম। এটি হাইকোর্টের নির্দেশনার বরখেলাপ। তাদের রাজনৈতিক দৈন্য এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: দেশের যেসব জেলা করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ

তাদের দলের সংবিধানের ৭ ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে যে দুর্নীতির দায়ে শাস্তিপ্রাপ্ত যেকোনো দুর্নীতিবাজও বিএনপি নেতা হতে পারবে। অর্থাৎ দুর্নীতিকে তারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে। এই লজ্জাকার!’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্টে আইন পাস করেছেন যে কীভাবে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। আওয়ামী লীগ এই আইন পার্লামেন্টে নিয়ে এসেছে এবং এতে বিএনপির সংসদ সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের সংশোধনীও গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরও তারা সমালোচনা করেন। আসলে বিএনপিকে ‘না’ রোগে পেয়ে বসেছে। সবকিছুতেই না বলা। না বলতে বলতে নিজেরাই যে কখন নাই হয়ে যায়, আমি সেই শঙ্কার মধ্যে আছি।’


সর্বশেষ সংবাদ