তাপমাত্রা বাড়ার আভাস, হতে পারে বৃষ্টি

তাপমাত্রা বাড়ার আভাস
তাপমাত্রা বাড়ার আভাস  © ফাইল ফটো

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর তীব্রতা কমে আজ থেকে তাপমাত্রা বাড়ার আভাস দিয়েছে এবং দেশের দু’এক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পূর্ভাবাস খবরে বলা হয়েছে, ‘পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।’

আরও পড়ুন: শীতে বাড়তে পারে চর্মরোগ, মুক্ত থাকবেন যেভাবে

পূর্বাভাস খবরে আরও জানানো হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলাসহ সিলেট এবং ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত দুদিন ধরে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এরমধ্যে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গায়।

আরও পড়ুন: নবীনদের পদচারণায় মুখরিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বিতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে তারা।

গত বছর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল। ২০১৯ সালে ২৯ ডিসেম্বরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় থার্মোমিটারের পারদ নামে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আরও পড়ুন: ছাত্রীরা হলে থাকতে না পারলে যাবেন কোথায়, সাদ্দামের প্রশ্ন

২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল। এর আগে ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


সর্বশেষ সংবাদ