জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতীকী অনশন শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৭ PM , আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:২২ PM

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রতীকী অনশনে বসেছেন। আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা দুই দিনের এ প্রতীকী অনশন শুরু করেন।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’ নামে মোর্চার ব্যানারে কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন কয়েক দিন ধরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি উল্লেখ করে জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন বলেন, ‘সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই আগামীকাল শুক্রবার ও এর পরদিন শনিবার আমরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করব।’
আরও পড়ুন: স্কুলশিক্ষিকাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেন ছেলে ও স্বামী, নেপথ্যে যে কারণ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবি তুলে ধরে এ শিক্ষক নেতা আরও বলেন, ‘আমরা আসছে ঈদেই শতভাগ উৎসব ভাতা চাই। আর সরকারি কর্মচারীদের মত একই হারে বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা চাই। সরকারের পক্ষ থেকে আসছে ঈদের আগে শতভাগ উৎসব ভাতা দেওয়া ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিলে আমরা ক্লাসে ফিরে যাব।’
জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব ও মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের (বাশিফ) সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ রাজু বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ে ঘণ্টাখানেক বসেছিলাম। উপদেষ্টা মহোদয় না থাকায় আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি। আমরা অবস্থান কর্মসূচি, কর্মবিরতি পালন করলেও সরকার কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ নিচ্ছে না। অন্য চাকরিজীবীরা মূল বেতনের শতভাগ উৎসব ভাতা পেলেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাত্র ২৫ শতাংশ দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: প্রভাতফেরিতে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ব্যানার, বিএনপি নেতাদের বিক্ষোভ
গত রবিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘শিক্ষকদের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত হল বেসরকারি খাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। তাদের জন্য যতদূর করার, আমি চেষ্টা করব। তাদের অনলাইন বদলির ব্যবস্থা করছি। তারা যে ভাতা পান তা অপ্রতুল। আমাদের সীমিত সাধ্যের মধ্যে ভাতা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আগামী বছরের জন্য এখন একটা বাজেট তৈরি হচ্ছে তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেছিলেন, শিক্ষকদের অবসরকালীন যে সুবিধা, তা তাদের টাকা। এগুলো তাদের ন্যায্য দাবি। তিনি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।