কাফির পরিবারের পাশে সেনাবাহিনী, দোষীদের বিচারের আশ্বাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ PM , আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৯ PM

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেনা সদস্যরা তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কাফির আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেন পায়রা আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কাফির গ্রামের বাড়িতে আকস্মিকভাবে আগুন লেগে যায়, যা মুহূর্তেই পুরো ঘর ভস্মীভূত করে ফেলে। কাফি দাবি করেছেন, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত হামলা।
ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কাফি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে জড়িত। তিনি প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, ‘আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি আমার ঘর পুনর্নির্মাণ এবং দোষীদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেওয়া হবে।’
অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
পরিদর্শন শেষে পায়রা আর্মি ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার বলেন, ‘এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, কাফি ও তার পরিবার ন্যায়বিচার পায়। এজন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সেনাবাহিনীর সহায়তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নুরুজ্জামান কাফি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। আমি প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই। আমি বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সরকারের কাছে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা চাই। আমি চাই, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে আমি আমার সাত দিনের আল্টিমেটামের বিষয়ে অনড় আছি।’