একুশে বইমেলাকে সবার নিজের মনে করতে হবে: অধ্যাপক আজম

অমর একুশে বইমেলার প্রস্ততি চলছে
অমর একুশে বইমেলার প্রস্ততি চলছে  © টিডিসি ফটো

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেছেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত অনুষ্ঠানের মধ্যে বইমেলা একটা। সামগ্রিক সফলতার জন্য সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকতে হবে। জাতীয় এই আয়োজনকে সবার নিজের মনে করতে হবে। তাহলে আমরা আশাতীত সাফল্য পাব।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে মেলার বিস্তারিত আয়োজন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মোহাম্মদ আজম। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, এই আয়োজন আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। বিরাট কাণ্ড। ১৯৯১ সাল থেকে আমি মেলায় আসি। কিন্তু একেবারে ভেতর থেকে আয়োজনে অংশগ্রহণ করা, একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা। বিরাট কর্মযজ্ঞ। 

এ আয়োজনে যুক্ত বাংলা একাডেমির মানুষ এবং বাইরে থেকে আগত মানুষজন অনেকদিন ধরে পরিশ্রম করে অসাধ্য সাধন করেছেন উল্লেখ করে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই মেলা আর আয়োজকদের হাতে পুরোপুরি নেই। যারা আসবে, বই দেখবে, নেবে, সংবাদ প্রকাশ করবে- সবার জিম্মায় ১ তারিখের পর থেকে চলে যাবে মেলা।

বইমেলার সময়সূচী
১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ব্যতীত)।

আরো পড়ুন: রঙের লেপন, পেরেক-হাতুড়ির টুংটাং—শব্দের উৎসবের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে

২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

স্টল সংক্রান্ত তথ্য
এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি; মোট ইউনিট ১ হাজার ৮৪টি। গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি এবং ইউনিট ছিল ৯৪৬টি।

এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি। লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি। গত বছর প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৮টি এবং ইউনিট ১০৯টি।


সর্বশেষ সংবাদ