চাঁদপুর শহরে ককটেল বিস্ফোরণে তাণ্ডব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

উচ্ছৃঙ্খল যুবকের দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল মহড়ার ছবি
উচ্ছৃঙ্খল যুবকের দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল মহড়ার ছবি  © সংগৃহীত

চাঁদপুর শহর সন্ধ্যার পরপরই কেঁপে ওঠে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজে। পুরান বাজার থেকে বাবুরহাট পর্যন্ত একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবকের দেশীয় অস্ত্রসহ মোটরসাইকেল মহড়ায় পুরো শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তারা বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষকে হুমকি-ধমকি দেয়।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যুবকেরা দল বেঁধে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই তাণ্ডব চালায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীও টহল দেয়। 

জানা গেছে, চাঁদাবাজি, দখলদারি, সন্ত্রাস, এবং হয়রানির বিরুদ্ধে ‘আমরা চাঁদপুরবাসী’ ব্যানারে সর্বস্তরের মানুষ একটি প্রতিবাদ কর্মসূচী পালনের উদ্যোগ নিয়েছিল। সেই কর্মসূচী বানচাল করতেই দুর্বৃত্তরা এমন তাণ্ডব চালায় বলে মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।  

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রতিবাদকারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হয়রানি করতে এই নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।  

এই ঘটনায় চাঁদপুরের সাধারণ মানুষ চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ এবং অস্ত্র নিয়ে মহড়া খুবই দুঃখজনক। আমাদের সন্তানরা স্কুলে যায়, এমন পরিস্থিতিতে বাসায় থাকতেও ভয় লাগছে।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বাহার মিয়া জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের শনাক্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  

ককটেল বিস্ফোরণের ফলে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। শহরের নতুন বাজার ও পুরান বাজার এলাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি ছিল। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকেরা দ্রুত ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছেন।


সর্বশেষ সংবাদ