চাঁদপুর মুক্ত দিবস আজ
- চাঁদপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ PM
আজ ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি পেয়েছিল মেঘনাপাড়ের জনপদ এই চাঁদপুর। সেই সময় চাঁদপুর সদর থানার সামনে বিএলএফ কমান্ডার রবিউল আউয়াল কিরণ প্রথম চাঁদপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ এপ্রিল চাঁদপুরে পাক হানাদার বাহিনী দুটি বিমান থেকে সেলিংয়ের মাধ্যমে প্রথম আক্রমণ করে। প্রথম দিনেই হামলায় শহরের বাণিজ্যিক এলাকা পুরান বাজারের এক নারী পথচারী নিহত হয়েছিলেন। তার নাম জানা যায়নি। পরদিন বিকেলে প্রায় পাঁচ শতাধিক পাকসেনার একটি বহর চাঁদপুর আসে।
শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে চাঁদপুর কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করে পাকিস্তানি সেনারা। আর পাকিস্তানি সেনা অফিসারদের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউসটি নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই স্কুলের মাঠ থেকে প্রতিদিনের মতো লতুফা বেগম নামে এক বৃদ্ধা গরু-ছাগল নিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনীর সদস্যরা রাতের আহার জোগাড় করার জন্য প্রথম অপারেশন হিসেবে ওই বৃদ্ধাকে গুলি করে হত্যা করে এবং বৃদ্ধার একটি গরু ও একটি ছাগল নিয়ে যায়।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে চাঁদপুর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২০১৩ সালে বড় স্টেশনের বধ্যভূমিতে নির্মাণ করা হয় ‘রক্তধারা’।
এর আগে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুশীল, শংকর ও খালেকের নামে ট্রাক রোডে নির্মাণ করা হয় ‘মুক্তিসৌধ’ এবং চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে লেকের ওপর ভাসমান মুক্তি স্মৃতিসৌধ ‘অঙ্গীকার’ নির্মাণ করা হয়। চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মুখে স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের নামের তালিকাসংবলিত একটি স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়া চাঁদপুর পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় ‘শপথ চত্বর’।
এছাড়াও দীর্ঘ আট মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে ২০১৩ সালে বড় স্টেশনের বদ্ধভূমিতে নির্মাণ করা হয় ‘রক্তধারা’। চাঁদপুরে মোট তিন হাজার ৪শ’ গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন