কমিটি নিয়ে বিরোধ
চাঁদপুরের দুই কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ PM , আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮ PM
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দুটি ডিগ্রি কলেজে পরিচালনা পর্ষদ বাতিলের পর বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এডহক কমিটি গঠন নিয়ে প্রায় একমাস ধরে চলা বিরোধের কারণে গৃদকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত ডিগ্রি কলেজে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সমস্যা গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজে দেখা দিয়েছে, যেখানে কলেজের মূল ফটক ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এক পক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার স্ত্রী ডা. আনোয়ারা হককে গোপনে মনোনীত করা হয়। এ নিয়ে গত ১৭ নভেম্বর বিএনপির একটি অংশ কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভের সময় তারা কলেজের সিসিটিভি ক্যামেরার যন্ত্রাংশ, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরি রানী সাহাকে বের করে দিয়ে তার কক্ষে তালা লাগায়।
এর প্রতিবাদে ১৮ নভেম্বর একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কলেজ গেটে তালা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করে। অন্যদিকে, দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং পরে সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৬ নভেম্বর, স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহবুব মোরশেদ কচিকে সভাপতি ও কলেজ অধ্যক্ষ হরিপদ দাসকে সদস্য সচিব করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তিন সদস্যের এডহক কমিটি ঘোষণা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিএনপির অন্য একটি গ্রুপের নেতা ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং তার অনুসারীরা। কলেজের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।
এই দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বছরের শেষ প্রান্তে এসে এমন অচলাবস্থা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।