বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেলো সিমেন্ট-গ্যাস

কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর
কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর  © টিডিসি সম্পাদিত

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলার জেরে কুমিল্লার বিবির বাজার স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি, রফতানি ও যাত্রী পারাপারে প্রভাব পড়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার ও বাণিজ্যের পরিমাণ কমে গেছে।  

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বন্দর দিয়ে রফতানি হয়েছে সিমেন্ট, এলপিজি সিলিন্ডার, এবং পার্টিকেল বোর্ড। আমদানি পণ্য হিসেবে এসেছে আগরবাতি।  

বিবির বাজার স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, হামলার পর বন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, তবে আগের তুলনায় কার্যক্রম কিছুটা কমেছে।  

গত কয়েক দিনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১ ডিসেম্বর এই বন্দর দিয়ে ৩২ জন যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং ৬২ জন দেশ ত্যাগ করেন। ২ ডিসেম্বর এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪১ ও ৬৬। ৩ ডিসেম্বর দেশটিতে প্রবেশ করেন ৪২ জন এবং ত্যাগ করেন ৪৩ জন।  

বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, বিবির বাজার স্থলবন্দরে কোনও সমস্যা হয়নি। আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে, তবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

বন্দরের শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।  

কুমিল্লা বিবির বাজার দেশের ১৩তম স্থলবন্দর, যা কুমিল্লা নগরী থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০০২ সালের ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত এই বন্দর ২০০৯ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করে।  

রফতানি পণ্য হিসেবে বন্দর থেকে সিমেন্ট, কয়লা, কোমল পানীয়, রড, পাথর, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী পাঠানো হয়। আমদানির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পণ্য হলো আগরবাতি, ভুট্টা, আদা, গম, চাল, জিরা, এবং তেঁতুল।  

বন্দরের পরিবেশ এখনও শান্ত থাকলেও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।  


সর্বশেষ সংবাদ