ভোট দিতে মাদ্রাসায় গেলেন শিক্ষামন্ত্রী, স্কুলে উপমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৪ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩১ PM
চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর চট্টগ্রাম নগরীর মুসলিম এডুকেশন সোসাইটি (এমইএস) স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্ট্রার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী। আর চট্টগ্রাম-৯ আসনে দলটির মনোনিত প্রার্থী রয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
জনসাধারণের কাতারে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ভোট দিয়ে নিজে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, তারা আজ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিয়েছে।
কমিশনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি সংসদীয় আসনে এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এ নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টির ২৬৫, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৬৬, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২, জাতীয় পার্টির (জেপি) ১৩ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে নারী প্রার্থী হিসেবে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০ জন। আর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও অন্যান্য মিলে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৯৯ সংসদীয় আসনে মোট ভোট কেন্দ্র ৪২ হাজার ২৪টি। এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯। এছাড়া দেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন।
ভোট দিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল, এবারও বর্জন করেছে। কিন্তু ২০১৪ সালে তারা জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি করে মানুষকে ভয় লাগাতে পেরেছিল। কিন্তু এইবার তারা মানুষকে ঘরে রাখতে পারেনি। নৌকার পক্ষে এবার বাধভাঙা জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।