ঢাবিতে ৭ম নন-ফিকশন বইমেলা উদ্বোধন

  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এবং বণিক বার্তার যৌথ উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ প্রাঙ্গণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বেলুন উড়িয়ে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান, জগন্নাথ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা, হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাসুদুর রহমানসহ আরও অনেকে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেছেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। এসময় তিনি বলেন, নতুন বইয়ের পাতা উল্টানোর সাথে সাথে নতুন বইয়ের যে ঘ্রাণ সেটি শিক্ষার্থীদের মনে জ্ঞান অর্জনের খোরাক জোগায়।

এসময় তিনি প্রকাশক ও আয়োজকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন যদি আপনারা আগামী বছর ফিকশন বইও নিয়ে আসতে চান সেটিও কিন্তু খারাপ নয় কিন্তু বৃহত্তর আঙিনায় যদি আপনারা করতে চান আমরা আপনাদেরকে সে সহযোগিতা করবো। পরবর্তীতে তিনি দুইটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং স্টল গুলো ঘুরে দেখেন।

ঢাবির বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, বাংলাদেশে কয়েকজন জনপ্রিয় লেখক আছেন যাদের বই প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু এই বইগুলোর মধ্যে জ্ঞানের পরিধি কম। কিন্তু ভালো বই যেগুলো আছে সেগুলো পৃথিবীর সব দেশেই কম লোকে পড়েন কম লোকে কিনেন।

তিনি আরও বলেন, অনেক জ্ঞানী শিক্ষকেরা হয়েছেন কিন্তু জ্ঞানটাকে জাতীয়জীবনে কার্যকর করা এবং একটা উন্নত জাতি গড়ে তোলা এই পটভূমিটা হয়নি। নানান ভাবে মন মানসিকতা বদলে গেছে। এরই মধ্যে আরও অনেক অনেক পরিবর্তন ঘটে গেছে।

অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, এই মেলার একটা আলাদা গুরুত্ব এই যে আসলে নন ফিকশন বই তো লেখারও সমস্যা, প্রকাশনারও সমস্যা আবার পাঠকদেরও সমস্যা কারণ পাঠকরা অনেক সময় বইয়ের সন্ধান পান না কারণ বিপণনে সমস্যা থাকে। আবার প্রকাশকরা সবসময় আশঙ্কায় থাকেন এধরণের বই কতটা বিক্রি হবে। তাই এই বিপণন এবং প্রচারের জন্যই মেলাগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

প্রকাশকদের পক্ষ থেকে সময় প্রকাশনীর প্রকাশক খলিল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এই নন ফিকশন বই মেলা হওয়ায় সরাসরি শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী মূল্যায়নের আওতায় বইগুলো আসতে পারছে এটা প্রকাশকদের জন্য খুবই আনন্দ বিষয়। নন ফিকশন বইও যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই  নন ফিকশন বই মেলা সেটি শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরছে। 

এছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেন বণিক বার্তার প্রকাশক সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এবং বব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মুহাম্মদ আব্দুল মঈন।


সর্বশেষ সংবাদ