‘কাশ্মীর এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যত’ শীর্ষক আলোচনা সভা

‘কাশ্মীর ইস্যু এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যত’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা
‘কাশ্মীর ইস্যু এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যত’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা  © সংগৃহীত

কাশ্মীরের অধিবাসীদের মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য জাতিসংঘকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ‘কাশ্মীর ইস্যু এবং দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যত’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল আলোচনা সভা বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে আয়োজন করা হয়েছে। সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংস্থার গবেষণা পরিচালক মো. ইসরাফিল।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক ও গবেষক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ কাশ্মীরিদের ন্যায্য অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, ২৭ অক্টোবর সারা বিশ্বে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়, কারণ এই দিনে ভারত কোনো আইনি যুক্তি ছাড়াই জোরপূর্বক জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। 

তিনি বলেন, আর্টিকেল ৩৭০ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ভারতকে কাশ্মীরি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ফিলিস্তিনের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে কাশ্মিরিদের। এই নীতির কারণে অদূর ভবিষ্যতে নিজ ভূমে পরবাস হতে পারে কাশ্মিরের মুসলিম জনতা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুধু পাকিস্তান ও ভারতকে সংযত থাকার অনুরোধ করে, কিন্তু কাশ্মীরের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের জন্য কেউ কাজ করে না।

দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের  জন্য  জাতিসংঘকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা রক্ষায় কাশ্মীর সংকটের সমাধান করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক কর্ণেল অবসরপ্রাপ্ত আশরাফ আল দ্বীন বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর নির্যাতনের সংবাদ যেভাবে প্রচারিত হয় কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর নির্যাতনের সংবাদ সেভাবে প্রচার হয় না। এখানে অধিকাংশ মুসলিম নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছে। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ সকল রাষ্ট্রের জনগণের সোচ্চার হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে সার্ক-কে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বারোপ করেন। কাশ্মীরের অধিবাসীদের মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং সংঘাতমুক্ত কাশ্মীর প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ এবং ভারতের ভূমিকার উপর তিনি গুরুত্ব দেন। কাশ্মীরি জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর যে সমর্থন তা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের উচিৎ কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়ানো।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীর পাশে দেশের সরকার এবং রাজনৈতিক দল সমূহকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘের মাধ্যমে গণভোট আয়োজনের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরীদের মতামত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিৎ বলে  তিনি  মনে করেন।

সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা পরিচালক মো. ইসরাফিল বলেন, কাশ্মীরে নির্যাতন বন্ধের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ এবং জাতিসংঘের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীর পাশে দেশের সরকার এবং রাজনৈতিক দল সমূহকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ