ইবি ক্যাম্পাসে বেড়েছে ঝোঁপঝাড়, সাপ ও মশার উপদ্রপ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ঈদের ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। বেড়েছে সাপ ও মশার উপদ্রব। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসে সব জায়গা দেখা মিলছে সাপ। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাপ অতঙ্ক। কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও  নিয়মিত ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার না করায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে দাবি আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। দ্রুত ঝোঁপঝাড় পরিষ্কারসহ প্রতিটি হলে কার্বলিক এসিড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ঈদুল আজহার ছুটিতে গত ২৪ জুন ক্যাম্পাস বন্ধ হয়। তবে ক্যাম্পাসে আবাসিক শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের পরিবার অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাস নিয়মিত পরিষ্কার না করায় আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ঝোঁপঝাড়ে ভরে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল এবং শেখ হাসিনা হলের আশেপাশে বেশি ঝোঁপঝাড় বেড়েছে। ফলে রাস্তাসহ বিভিন্ন কক্ষে দেখা মিলছে সাপ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হল, খালেদা জিয়া, বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড়সহ বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি সাপ মারা পড়েছে। ক্যাম্পাস বন্ধের আগে প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তার রুমেও সাপ পাওয়া যায়।

শিক্ষার্থী রবিন বলেন, মাঠে সাপের ভয়ে খেলা করতে পারছিনা। ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি করতেও সাপের আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী চয়মুন নাহার বলেন, আমাদের হলের আশেপাশে ঝোঁপঝাড় বেড়েছে। এ কারণে সাপের উপদ্রপ ও পোকামাকড় বেড়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মেডিকেলের আশেপাশেও ঝোঁপঝাড়ে পরিপূর্ণ। প্রথমে ভবনগুলোর আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার করতে হবে এবং ভবনগুলোতে কার্বলিক এসিড বোতলে রেখে মুখ খোলা রাখলে আশা করি সাপের উপদ্রপ কমে যাবে। 

আরও পড়ুন: জবি ছাত্রী খাদিজাকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের পরিচালক শামছুল ইসলাম জোহা বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ঝোঁপঝাড় বাড়লেও পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে সাপের উপদ্রপ্রও বেড়েছে। ঈদের বন্ধের আগে কার্বলিক এসিড দিয়েছিলাম পুনরায় দিতে হবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঝোঁপঝাড় পরিষ্কার করার নির্দেশনা দিয়েছি।

এর আগে করোনাকালীন ছুটির পর ক্যাম্পাসের রাস্তা-ওয়াশরুম ও কক্ষগুলোতে দেখা গিয়েছিল বিষধর সাপের। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০টি সাপ মারা পড়েছিল।  এতে করে আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসে চলাচল অনেকটাই অনিরাপদ হয়ে উঠেছিল।


সর্বশেষ সংবাদ