বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারে নেয়া হচ্ছে হাতিরঝিলের পানি

বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারে নেয়া হচ্ছে হাতিরঝিলের পানি
বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টারে নেয়া হচ্ছে হাতিরঝিলের পানি  © সংগৃহীত

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে বঙ্গবাজারের আকাশ। তবে বাতাসের কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আগুনের তীব্রতা। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পানি সংকট দেখা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের। পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। হাতিরঝিল থেকে কয়েক দফায় হেলিকপ্টারে পানি নিয়ে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। 

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টার দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আর ৬টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের ঠিক বিপরীত পাশেই বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, সকাল সোয়া ৬টার দিকে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। আমাদের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ইউনিটের গাড়ির সঙ্গে আসা পানি অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। পরে আমরা ফজলুল হক মুসলিম হলের পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। তবে পানির চাপ অনেক কম। মাঝখানে ১০ মিনিট আমাদের কাজ অনেক ব্যাহত হয়েছিল।

d7bd8e01-85c0-49bf-bb13-a52d96676738

হাতিরঝিল থেকে রাজধানীর বঙ্গবাজারে লাগা বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার। সকাল ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারকে হাতিরঝিল থেকে পানি নিতে দেখা যায়। 

আরও পড়ুন: দুই কোটি টাকার মালামাল ছাই হয়ে যাচ্ছে এক ব্যবসায়ীর

বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট কাজে যোগ দিয়েছে। বঙ্গবাজারে লাগা আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে পানির চাপ কম থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও মালামাল পুড়ে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক লোকসান হয়েছে।

অ্যানেক্স মার্কেটের দোকান মালিক নাসিম বলেন, বঙ্গবাজার, মহানগর, আদর্শ ও গুলিস্তান মার্কেট আগুনে পুড়ে গেছে। এখন অ্যানেক্স মার্কেটে আগুন লেগেছে। আরেক দোকান মালিক আল মামুন বলেন, আগুন লেগেছে বঙ্গবাজার থেকে। আমার দোকান অ্যানেক্স মার্কেটে। দুই ঘণ্টা হলো এখানে এসেছি। ভয়ে কিছুই বের করতে পারিনি। এখন আমার দোকানও শেষ।


সর্বশেষ সংবাদ