বিস্ফোরণ কী কারণে হলো, তদন্তের পর জানা যাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫২ PM , আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩, ১০:১৬ PM
রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই মাথায় আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তবে বিস্ফোরণ কী কারণে হলো তা তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে নিহতদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছে। ১১২ জনের মতো আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন ভর্তি আছে প্রায় ৬৭ জন। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। হাসপাতালে পূর্ণ প্রস্তুতি রাখা আছে। ডাক্তার, নার্স যারা ছিল সবাইকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুবি ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আশপাশে যেসব হাসপাতাল আছে সেখানেও আমরা ব্যবস্থা করে রেখেছি। সেখানে ডাক্তাররাও রেডি আছে। এখানে জায়গার অভাব হলে বার্ন ইউনিটে, সলিমুল্লাহ মেডিক্যালে আমরা রোগী নিয়ে যেতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি অনেকেরই মাথায় আঘাত বেশি হয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণে বেশি মৃত্যু হয়েছে।
আহতদের মধ্যে যারা পুড়ে গেছে তাদের মধ্যে সাত জন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছে। তাদের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অনেকে বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর আবার ঢামেকে চলছে আসছে। ঢামেকে চিকিৎসার সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেন জানান স্বাস্থ্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্থানীয়দের হামলায় গুরুতর আহত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র
আহতদের ঢামেকের ইমার্জেন্সি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরপর তাদের ওয়ার্ড বা আইসিইউ যেখানে দরকার সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটি ইমার্জেন্সি সিস্টেম আছে পুরো ঢাকার জন্য। এর মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে সবাই মেসেজ পেয়ে এসে চিকিৎসা করছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে সাত তলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটস্থালে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মরদেহ এবং শতাধিক আহত উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।