বুয়েট নিয়ে কিছু কথা

রনক আহসান
রনক আহসান   © টিডিসি ফটো

বুয়েটিয়ানদের কেউ টিচার ফাইটার, কেউ মধ্যমমানের ফাঁকিবাজ আবার আমার মতো কেউ ব্যাপক ফাঁকিবাজ। কেউ ২/৪ টা প্রেম একসাথে করে আবার কেউ এক প্রেমেই লাইফ পার করছে। কেউ গেমার, কেউ বিতার্কিক, আবার কেউ কেউ বুয়েটের ফিল্ম সোসাইটি, ড্যান্স ক্লাব, মূর্ছনা, এনভায়রনমেন্টাল ওয়াচ বা সত্যেন বোস বিজ্ঞান ক্লাবের মেম্বার। 

কেউ ১/২ টা টিউশনি করে, কেউ অনেকগুলো টিউশনি করে বা কোচিং চালায় আবার কেউ স্টার্টআপ শুরু করে। এদের কেউ পুতিনের সমর্থক, কেউ বাইডেনের, আবার আমার মতো কেউ কেউ ট্রাম্পের সমর্থক! কেউ তাবলীগ করে, কেউ খেলাধুলায় ইন্টারেস্টেড আবার কেউ গানবাজনায়, কেউ সুফিবাদে বিশ্বাসী, কেউ পীরভক্ত আবার কেউ পূজা অর্চনা করে। কেউ রোটার‌্যাক্ট ক্লাব বা স্কাউটিং করে, কেউ বাঁধনের কর্মী, কেউ পরিবেশবাদী সংগঠন করে, কেউ পেশাজীবি সংগঠন করে, কেউ বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব বা আইইবি'তে ইনভলভ আবার কেউ বুয়েট অ্যালামনাইতে  এক্টিভলি যুক্ত। কারও সেরা গবেষক বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ঝোঁক, কারও সেরা লেখক,গায়ক হওয়ার ঝোঁক, আবার কারও ঝোঁক রাজনীতিতে। মোটকথা, বুয়েটিয়ানরা ভার্সেটাইল কোয়ালিটির এবং প্রত্যেকেই কোন না কোন ফিল্ডে সেরাদের একজন হওয়ার মতো প্রতিভাসম্পন্ন। এটাই বুয়েটের সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য। 

আরও পড়ুন: বিসিএস ক্যাডারদের সংবর্ধনা দেয়া বুয়েট ভিসির জন্য লজ্জাজনক

এই বুয়েটিয়ানদেরই কেউ কেউ ক্যাম্পাসে রাজনীতি করেছেন যাদের সংখ্যা হয়তো টোটাল বুয়েটিয়ানদের ১০% হবে। এদের কেউ ছাত্রলীগ করেছেন, কেউ ছাত্রদল করেছেন, কেউ ছাত্র ইউনিয়ন বা জাসদ ছাত্রলীগ, কেউ ছাত্রফ্রন্ট করেছেন, আবার কেউ কেউ হয়তো শিবির করেছেন। আমরা যারা একসময় বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করেছি আমরা কিন্তু বুয়েটিয়ান কমিউনিটিরই অংশ। বুয়েটের ছাত্র ইউনিয়নের অনেক সাবেক নেতৃবৃন্দকে গর্বের সাথে বলতে শুনেছি যে তাঁরা একসময় ছাত্র ইউনিয়ন করতেন, সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন। ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট বা অন্য রাজনৈতিক কর্মীরা যারা মন থেকে দলীয় নীতি ও আদর্শে বিশ্বাস করেন, তাঁরাও তাদের পলিটিক্যাল আইডিওলজি নিয়ে গর্ব করেন, নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মতই অন্যদের সাথে নিজের আইডিওলজি নিয়ে ডিবেট করেন।

অনেকেই মনে করেন বুয়েটে যারা ছাত্ররাজনীতি করেছেন তারা ভাদাইম্যা, দেশে এদের কোন অবদান নেই। আপনারা কি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আবদুস সবুর কে জানেন? আপনারা কি বিএনপি'র অন্যতম পলিসি মেকার ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কে জানেন? হাসানুল হক ইনু বা জি.এম কাদের বা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কে জানেন? মুফতি কাসেদ, শাফি ইমাম রুমী বা রৌমারী মুক্তাঞ্চলে পাকবাহিনীর ত্রাস নুরুন্নবী চৌধুরী বীর বিক্রম কে চিনেন? ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রেসিডেন্ট যে একজন বুয়েটিয়ান এটা কি জানেন? তাঁরা যেসব পদ বা অলংকৃত করেছেন বা যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন সেগুলো কি আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না? এগুলো না জেনেও যদি আপনি নিজেকে রাজনীতি সচেতন দাবী করেন, তাহলে আমি বলবো আপনি এখনো রাজনীতি সচেতন হতে পারেন নি, আসলে আপনি নিজেই একজন ভাদাইম্যা!

আমরা যারা বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও যারা একসময় বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, আমাদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীবৃন্দ’। ‘সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী’ এটা আমার আইডেন্টিটির অংশ। আরও অনেকের মতো আমিও সবসময় গর্বের সাথে বলি যে আমি বুয়েট ছাত্রলীগের ক্ষুদ্র একজন কর্মী ছিলাম। বিগত একযুগে বুয়েট ছাত্রলীগের কিছু অধঃপতিত নেতা-কর্মীদের জন্য বুয়েট ক্যাম্পাসে ‘ছাত্রলীগ’ ঘৃণার প্রতিশব্দ হয়ে গেছে, কিন্তু এটাই ছাত্রলীগের একমাত্র পরিচয় নয়। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বুয়েটে যারা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন, যারা হয়তো চিন্তাও করেননি যে আওয়ামী লীগ কখনো রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে, বলতে পারেন তারা কোন স্বার্থে ছাত্রলীগ করতেন? বস্তুতঃ তাঁরা হচ্ছেন সেই জেনারেশন যাদের কাছে ‘ছাত্রলীগ’ একটি আবেগ ও ভালোবাসার জায়গা, যাদের কাছে ‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী’ একটি গৌরবাজ্জ্বল আত্মপরিচয়।

আরও পড়ুন: দেড় যুগেও হয়নি বুয়েট ছাত্রী সনি হত্যাকাণ্ডের বিচার

‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ’ এটা কোন ছাত্রসংগঠন বা রাজনৈতিক সংগঠন নয়। ‘জাতির পিতা’র স্বীকৃতি দিয়েছে এই দেশের মহান সংবিধান। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বুয়েট ছাত্রলীগের প্রাক্তন নেতৃবৃন্দ’ বুয়েটে একসাথে বসলেই সেটা কোন দলীয় লেজুড়বৃত্তিক প্রোগ্রাম হয়ে যায় না। বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ এই বুয়েটেরই প্রাক্তন ছাত্র। তারা আওয়ামী লীগ বা এর কোন সংগঠনের প্রোগ্রাম করতে আসেনি। এই ক্যাম্পাসে স্বপরিচয়ে আসার আপনার যেমন অধিকার আছে, আমারও আছে। আপনি হয়তো বুয়েটের বাঁধনকর্মী বা বুয়েটের কোন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বা তাবলিগ কর্মী বা অন্য কোন পরিচয়ে বুয়েটে আসতে প্রেফার করেন, আমি ‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী’ পরিচয়ে বুয়েটে আসতে প্রেফার করি। এই পরিচয়টা শুধু একই মতাদর্শের সাবেক কর্মীদের একসাথে গেট টুগেদার এর উপলক্ষ মাত্র।

রানিং শিক্ষার্থী ভাই-বোনদের কেউ যদি বলতে পারেন, আমরা সাবেক বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মীদের কেউ আপনাদের ছাত্রলীগ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছি, তাহলে আমাদেরকে অপরাধী করবেন। এই ধরনের একটি উদাহরণ আপনারা দেখাতে পারবেন?

গত ১৩ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে বুয়েটের বর্তমান কোন ছাত্রকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি এবং বুয়েটিয়ান ব্যতীত অন্য কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। সেখানে ছিলেন উনসত্তরের গনঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দসহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক নেতৃবৃন্দ যারা প্রত্যেকেই পেশাজীবনে সফল (তঁদেরকে কর্মহীন/বেকার মনে করার কোন কারণ নেই)। তাঁরা স্মৃতিচারণ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা, গর্বের সাথে বলেছেন বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য পাওয়ার কথা, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ততকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কথা বলেছেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কথা, আরো বলেছেন বুয়েট ক্যাম্পাসে তাঁদের যৌবনের সোনাঝরা দিনগুলোর কথা। 

যারা মনে করছেন সাবেক বুয়েট ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের ১৩ আগষ্ট এর প্রোগ্রাম বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, তারা ভুল বুঝছেন। প্রথমত, কোন রানিং স্টুডেন্টকে আমরা বলিনি এটেন্ড করতে। দ্বিতীয়ত, শহীদ আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে বুয়েটে অ্যালামনাইদের  প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোতে আমরা বুয়েট ছাত্রলীগের অনেক সাবেক নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেছি। শ্রদ্ধেয় জেআরসি স্যারের নেতৃত্বে, আমরা সবসময়ই আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছি। 

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরাও বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছি। বস্তুত: যতদিন বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে, ততদিন আমরাও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে সেটা বাস্তবায়নে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। 

তবে বুয়েটের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদেরকেও অনুরোধ জানাবো সচেতন থাকতে। ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন’ এই জাতীয় শ্লোগান কারা দেয় সেটাও তাদের দেখা উচিত। অনুরোধ জানাবো সচেতন থাকতে যেন মৌলবাদ ও উগ্রবাদ বুয়েটে আতুরঘর না বানায়।

আচ্ছা, যে সংগঠনটি করতে গিয়ে একটা মানুষ (আরিফ রায়হান দিপ) জীবন দিল, সেই সংগঠন এর পক্ষ থেকে তাঁর জন্য সামান্য দোয়া করতে তাঁর মৃত্যুস্থানে তার বাবা এবং ভাইয়েরা যেতে পারবে না? দিপের গত মৃত্যুবার্ষিকীতে দিপের বাবা বললেন, ‘আজকে এই দিনে আমি তোমাদেরকে দেখে তোমাদের মাঝে দিপকে কিছু সময়ের জন্য খুঁজে পাই। দিপ বেচে থাকলে এই বয়সে দেখতে কেমন হতো, তোমাদের দেখে সেই অনুভূতি পাই।’ দিপের বাবা’র অনুভূতি কি মিথ্যে হয়ে যাবে? সেই ২০১৪ সাল থেকে এবছর পর্যন্ত দিপের বাবা দিপের মৃত্যুবার্ষিকীতে দিপের স্মৃতিফলকে আসতে একবারো মিস করেনি। এই সামান্য অধিকারটাও আপনারা কেড়ে নিতে চান?

আমরা শহীদ আরিফ রায়হান দীপের স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা জানালে আপনাদের খারাপ লাগে, কিন্তু সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট সাবেকুন নাহার সনি আপুর স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা জানালে সেটা আপনাদের চোখে পড়ে না। এটা আপনাদের কেমন দ্বিচারিতা? উল্লেখ্য, সনি আপুর মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের ভাই-বোনদের পাশাপাশি বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীবৃন্দও শ্রদ্ধা জানিয়েছে। আমি নিজেও সকালে বুয়েটে গিয়েছিলাম, প্রোগ্রাম শেষে সনি আপুর পরিবার ও সনি মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সাথে ছিলাম সারা সকাল। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমার মতই অন্যান্য সাবেক বুয়েটিয়ান রাজনৈতিক কর্মীদেরও অধিকার আছে স্বপরিচয়ে বুয়েটে বসার, স্বপরিচয়ে সামাজিক ও জাতীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার (ছাত্র শিবির ব্যতীত)। আর ‘জাতির পিতা’ কোন দলীয় ব্যক্তি নন, তাঁকে নিয়ে ‘বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীবৃন্দের দোয়া অনুষ্ঠান’ মোটেও কোন রাজনৈতিক বা দলীয় প্রোগ্রাম হতে পারে না। দিন শেষে আমার পরিচয়- আমি একজন গর্বিত বুয়েটিয়ান এবং আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বুয়েট শাখার একজন সাবেক গর্বিত কর্মী।

পরিশিষ্ট:
১) একটা হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়ার সাথে বিভিন্ন আইনী বিষয় জড়িত, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কার্যকর করতেও দীর্ঘ ৩৫ বছর লেগেছে। এদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের কখনো বিচার হয় নাই। সনি আপুর হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় এখনো পুরোপুরি কার্যকর হয়নি, এমনকি স্বয়ং ছাত্রলীগ কর্মী দিপ হত্যার সুষ্ঠু বিচার এখনো অধরা। কিন্তু আবরার হত্যার বিচার হচ্ছে। আপনারা স্বীকার করেন আর না করেন, সত্য এটাই যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার কারনেই নিম্ন আদালতে আবরার হত্যার বিচার কাজ সর্বোচ্চ গতিতে সম্পন্ন হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি দ্রততম সময়ের মধ্যে এই ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমি আরো মনে করি, আবরারের ফ্যামিলির উচিত দেশের আপামর মানুষ, বিশেষত বুয়েটিয়ান কমিউনিটির পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।

২) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে স্মরনসভাসহ দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করায় বুয়েটের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা বুয়েটিয়ানরা একটি পরিবারের মতো। আমরা সেটাই যেন বজায় রাখি।

৩) বুয়েটিয়ানদের ফেসবুক গ্রুপ থেকে জানলাম রানিং স্টুডেন্টদের কেউ কেউ ভয় পাচ্ছেন যে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। আমরা বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ সবাইকে আশ্বস্ত করছি যে এমন কিছুই ঘটবে না। ‘জাতির পিতা’ সবার, কেউ বুয়েট ক্যাম্পাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতেই পারে কিন্তু তার মানে এই না যে, বুয়েট ক্যাম্পাসে বাইরের কোন প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নেবো। বুয়েট বুয়েটিয়ানদের। এই ক্যাম্পাসে বুয়েটিয়ানরা বাঘের মত সাহস নিয়ে যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটাবে- দ্যাটস দ্যা স্পিরিট।

লেখক: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা; সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, টেলিটক শাখা।

[ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া]


সর্বশেষ সংবাদ