বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতিকে পথ দেখায়, সংস্কৃতি শেখায়

বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪২তম ব্যাচের  বিদায় অনুষ্ঠানে পরিবেশিত একটি নৃত্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে
বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪২তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠানে পরিবেশিত একটি নৃত্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম ব্যাচের ‘র‌্যাগ ডে’-এর একটা মিউজিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মতামতগুলো দেখার চেষ্টা করলাম। অধিকাংশ মানুষ বলার চেষ্টা করছে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায় কাপল ড্যান্সের নামে এমন কালচারাল ফাংশন বেমানান। এতে সমাজ-সংস্কৃতি, শিক্ষার্থীদের রুচিবোধে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়। এগুলো সাধারণ মানুষের মতামত।

এর আগে ২০১৫ সালে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি ব্যাচের সমাপনী ক্লাসে শিক্ষার্থীর এরাবিয়ান পোশাক পরে আসে। শিক্ষার্থীরা ‘থব, কুফিয়া ও ইগাল’ পরে ক্যাম্পাসে র‍্যালি করে।

মুহাম্মদ রাশেদ খান

এই ঘটনার দুইদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে উল্লেখ করা হয় কিছু শিক্ষার্থীর ‘নির্দিষ্ট’ পোশাক ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতির পরিপন্থী’ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় বিব্রত হয়েছে। কিছু গণমাধ্যম এরাবিয়ান পোশাক পরার এই বিষয়টি নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরে।

আরও পড়ুন: জাবিতে র‌্যাগ ডের ড্যান্স পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতিকে পথ দেখায়। এখান থেকেই মানুষ সংস্কৃতি শেখে, সমাজের সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যদি নেতিবাচক কোনকিছুর চর্চা শুরু হয়, সেটা সমাজ-সংস্কৃতিতে গড়াবে। যা আমাদের ধর্মীয়, সমাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধে আঘাত আনবে।

আমাদের মনে রাখা উচিত, ছোটবেলা থেকে আমরা একটি চর্চা, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে আসছি। কোথাও এর ব্যতিক্রম দেখলে অস্বাভাবিক লাগা অস্বাভাবিক নয়। সংস্কৃতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। আপনার সংস্কৃতির সাথে ভিনদেশি সংস্কৃতির ভালটা না মন্দটা নেবেন, সেটা একান্তই আপনার বিষয় নয়। সেটা সামগ্রিক জাতিগত একটি বিষয় যে, এই জাতি কেমন, কি চায়।

লেখক: সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, গণঅধিকার পরিষদ


সর্বশেষ সংবাদ