মেডিকেল বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কাল

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ  © ফাইল ছবি

দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়ে। এই অবস্থায় মেডিকেল কলেজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বৈঠকে বসতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। বৈঠকে মেডিকেল বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের মেডিকেল কলেজগুলো পুরোপুরি বন্ধ করা হবে না। পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ড চালু রাখা হবে। এছাড়া অন্যান্য বর্ষের ক্লাস অনলাইনে নেয়া হবে। আর বিভিন্ন বর্ষের প্রফেশনাল পরীক্ষা চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রে এসে জানলো পরীক্ষা স্থগিত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন শনিবার (২২ জানুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সরকার যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সেটি আমরা দেখেছি। ওই প্রজ্ঞাপনের সাথে যদি মেডিকেল কলেজ বন্ধের বিষয়টি মেলানো হয় তাহলে আমরা মেডিকেল বন্ধ করে দেব। মেলানো না হলে মেডিকেল বন্ধ হবে না।

তিনি আরও বলেন, মেডিকলে কলেজের পড়ালেখা অন্যদের তেকে একটু ভিন্ন। এখন যারা পরীক্ষা দিচ্ছেন দুেইদিন পর তারা চিকিৎসক হবেন। সম্মুখযোদ্ধা হয়ে মানুষের সেবা করবেন। তাই প্রফেশনাল পরীক্ষাগুলো বন্ধের পরিকল্পনা নেই। প্রফেশনাল পরীক্ষাগুলো চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন: আসন ফাঁকা নেই ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধসহ বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ০৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘন্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমূহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন; বাজার-শপিং মল, মসজিদ, বসন্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরণের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে, বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে।


সর্বশেষ সংবাদ