দাখিল-আলিমের পর মাদ্রাসা ছাড়েন ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী
- আব্দুল কবীর ফারহান
- প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:২৩ PM , আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০১ PM
গাজীপুরের টঙ্গীস্থ তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিকের (আলিম) চূড়ান্ত পরীক্ষা দিচ্ছেন আব্দুল্লাহ আল নাঈম। আগামী মাসের ৮ তারিখে তার সব পরীক্ষা শেষ হবে। তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই উত্তরার একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ে ভর্তি হয়েছেন তিনি। ইচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সরকারি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা নেওয়ার। তার মতে, দেশের চাকরির বাজারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বৈষম্য রয়েছে। এ কারণে মাদ্রাসা থেকে দাখিল-আলিমের পাঠ চুকিয়ে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার আগ্রহ তার।
শুধু নাঈম নয়, দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বৈষম্য, প্রশিক্ষিত শিক্ষকের স্বল্পতা, চাকরির বাজারে অনিশ্চিতসহ নানান কারণে দাখিল কিংবা আলিম শেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার ইতি টানছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে তারা উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নিচ্ছেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগরি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবার কেউ কেউ পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য।
পরিসংখ্যান বলছে, একই ব্যাচে দাখিল পরীক্ষা দেওয়া ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ফাজিলে গিয়ে হারায় তাদের সহপাঠীদের। ফলে শেষ পর্যন্ত উচ্চশিক্ষা স্তরে এসে মাদ্রাসার প্রতি ব্যাচে টিকে থাকছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাছাড়া ঝরে পড়াসহ মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিদায় জানিয়ে ভিন্ন বোর্ডে চলে যায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ দাখিল পরীক্ষার্থী।
“বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাক্রমকে আধুনিক করেছেন। কিন্তু সে অনুযায়ী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে না।”-মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), টঙ্গীস্থ তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা
গত কয়েক বছরের মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, দাখিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই থাকছে না আলিমে। এদের প্রায় সবাই অন্য বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন কলেজে কিংবা কারিগরির কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যাচ্ছেন। এর ফলে দাখিলের শুধুমাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায় একই ব্যাচের আলিম পরীক্ষায়।
২০২৩ ব্যাচের চলমান আলিম পরীক্ষায় মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে সারাদেশের মাদ্রাসাসমূহ থেকে অংশ নিচ্ছেন ৯৮ হাজার ৩১ শিক্ষার্থী। এই ব্যাচে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৬৯ জন ২০২১ সালের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এর আগের ব্যাচ ২০২২ সালের আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৯০ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী। দাখিলে এই ব্যাচে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৬ জন পরীক্ষা দিলেও আলিমে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে পায়নি মাদ্রাসা বোর্ড।
দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বৈষম্য, প্রশিক্ষিত শিক্ষকের স্বল্পতা, চাকরির বাজারে অনিশ্চিতসহ নানান কারণে দাখিল কিংবা আলিম শেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষার ইতি টানছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে তারা উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নিচ্ছেন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগরি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আবার কেউ কেউ পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে উচ্চশিক্ষার।
মাদ্রাসা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলমান আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন এই ব্যাচে দাখিল পরীক্ষা দেওয়া ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ শিক্ষার্থী। এই ব্যাচের হিসেব অনুযায়ী, ২০২১ সালের দাখিলের ৬৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থীই নেই আলিমে। এর আগে ২০২০ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীদের মাত্র ৩২ দশমিক ৬১ শতাংশ অংশ নিয়েছেন ২০২২ সালের আলিম পরীক্ষায়, বাকি ৬৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী দাখিলের পর আলিমে ভর্তি হননি। ২০১৯ সালের দাখিলের ৬৫ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আলিমে না পড়েই মাদ্রাসা ছেড়েছেন, এই ব্যাচে ২০২১ এর আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে দাখিলের ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। দাখিল ২০১৮ সালের ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী ২০২০ সালের আলিম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন, বাকি ৬৯ দশমিক ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অন্যত্র চলে গেছেন।
আরও পড়ুন: প্রতি জেলায় অন্তত একটি মাদ্রাসা সরকারি হোক
এছাড়া ২০১৭ সালের দাখিল পরীক্ষার্থীরা ২০১৯ সালে আলিম পরীক্ষা দেয়। এই ব্যাচে দাখিলের ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী আলিমে অংশ নেয়নি। এর আগের চার ব্যাচ ২০১৬, ১৫, ১৪ ও ১৩ সালের দাখিল ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাক্রমে ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ, ৬২ শতাংশ, ৬২ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং ৬২ দশমিক ৬৮ শতাংশ আলিমে ভর্তি হননি।
দাখিল শিক্ষার্থীদের ৫ ভাগের ৪ ভাগই ঝরে যায় ফাজিলে ভর্তি হওয়ার আগে। ফলে দাখিল ব্যাচেসমূহের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকেই মাদ্রাসায় ফাজিল পর্যায়ে এসে পাওয়া যায় না। সর্বশেষ ফাজিল শ্রেণিতে ২০২১-২২ বর্ষের ভর্তি চলমান রয়েছে, এই সেশনে এখন পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী। ব্যাচ হিসেব অনুযায়ী এই সেশনে ফাযিলে ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান শিক্ষার্থীরা ২০১৯ সালের দাখিল পরীক্ষা দেয়। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই ব্যাচের প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফাজিলে ভর্তি হয়েছে। ২০১৯ সালের ব্যাচ থেকে ফাজিলের আগেই মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিদায় জানিয়েছে প্রায় ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্যমতে, এর আগের ব্যাচে ফাজিলে ভর্তি হওয়া ২০১৮ সালের দাখিলের ৭৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় এসে মাদ্রাসা বেছে নেয়নি, ২০২০-২১ সেশনে ফাজিলে ভর্তি হয়েছে একই ব্যাচের দাখিলের ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। ২০১৭ সালে দাখিলের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৯-২০ সেশনে ফাজিলে ভর্তি হয় মাত্র ২৩ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, বাকি ৭৬ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী ছাড়ে মাদ্রাসা শিক্ষা।
এছাড়াও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থাকা ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের তথ্য অনুযায়ী, এর আগের চার ব্যাচ ২০১৮-১৯, ২০১৭-১৮, ২০১৬-১৭ ও ২০১৫-১৬ সেশনে ফাজিলে একই ব্যাচের দাখিলের যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং ২৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রতিযোগিতার বাজারে আধুনিক কারিকুলামে পিছিয়ে থাকা এবং ধর্মীয় শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থী কমে যাওয়া-ই মাদ্রাসার উচ্চশিক্ষা স্তরে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার কারণ। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ভিন্নভাবে দেখার সংস্কৃতি। ফলে শৈশব থেকে আলেম হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরাই শেষ পর্যন্ত এই শিক্ষাক্রমের মধ্যে থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করছে। অনেকেই পড়াশোনার মাঝপথে এসে আধুনিক শিক্ষাক্রমে নিজের গতি পরিবর্তন করে নেয়।
“প্রধানত আরবি বিষয়ে দূর্বলতার জন্যই শিক্ষার্থীরা দাখিলের পর আর মাদ্রাসায় ভর্তি হতে চায় না। এছাড়া চাকরির বাজারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবহেলার শিকার হতে হয়। উভয় শিক্ষাব্যবস্থার ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক মর্যাদাও এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী।”-আ ন ম নিজাম উদ্দিন, অধ্যক্ষ, রায়পুর আলিয়া মাদ্রাসা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে অধ্যয়নরত তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাকির হোসেন বলেন, আমরা আলিম পাশ করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বরাবরই ভালো করছে।
“চাকরির ক্ষেত্রে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়। অনেক প্রতিষ্ঠান সিভিতে মাদ্রাসা দেখলেই আর সাক্ষাৎকারের জন্য বিবেচনা করে না। এ ধরনের আচরণ অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’। তাই অভিভাবকরা অনেক সময় তাদের সন্তানদের দাখিল-আলিমের পর আর মাদ্রাসায় পড়াতে চান না। এই দায় কোনোভাবেই মাদ্রাসার উপর বর্তায় না। আমাদের দেশের কিছু সংকীর্ণ মানসিকতার ‘ডিসিশন মেকারের’ কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”-যোগ করেন তিনি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকার একটি স্বনামধন্য মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ফাজিল-কামিলকে ডিগ্রি-মাস্টার্সের মান দেয়া হলেও কর্মজীবনে গিয়ে আমরা এর তেমন কোন ফলই পাচ্ছি না। ধর্মীয় গবেষণায় আগ্রহী করতে প্রযোজনে কারিক্যুলামে আরও পরিবর্তন করে মাদ্রাসা শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা দিয়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাওয়ার সুযোগ করে দিলে দেশের বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে নৈতিকতা ফিরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ ন ম নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রধানত আরবি বিষয়ে দূর্বলতার জন্যই শিক্ষার্থীরা দাখিলের পর আর মাদ্রাসায় ভর্তি হতে চায় না। যে বিষয় পড়ে আনন্দ পায় না বুঝে না, সেই বিষয় চালিয়ে যাওয়া আসলেই সহজ নয়। এছাড়া চাকরির বাজারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবহেলার শিকার হতে হয়। উভয় শিক্ষাব্যবস্থার ভিন্ন ভিন্ন সামাজিক মর্যাদাও এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী। এজন্য আমাদের শিক্ষার্থীরা হীনমন্যতায় ভোগেন। এছাড়া মাদ্রাসায় পোষাক-পরিচ্ছদেরও একটা বাধ্যবাধকতা থাকে, সেটিতে অনেকেই অভ্যস্ত থাকতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা আলেমের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ইসলামি স্টাডিজ নেন। আসলে এতে আরবিতে দক্ষ হয়ে উঠা সম্ভব নয়। মাদ্রাসায় যেভাবে হাতে-কলমে হাদিস ও তাফসিরের বড় বড় কিতাবসমূহ (গ্রন্থসমূহ) পড়ানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা সম্ভব হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে একই সাথে বেসিক আরবি না জানা জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থীরাও ইসলামি স্টাডিজে ভর্তি হয়ে থাকে।
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি-মাস্টার্সের মান দেয়া হলেও কর্মক্ষেত্রে তারা নানাভাবে বৈষম্যের স্বীকার হন বলে দাবি টঙ্গীস্থ তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মো. মিজানুর রহমানের। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাক্রমকে আধুনিক করেছেন। কিন্তু সে অনুযায়ী তারা কর্মক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা নৈতিকভাবে শিক্ষিত হয়ে বেড়ে উঠে। আমাদের শিক্ষার্থীদের যেসব কর্মক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হবে, সেসব জায়গায় সুন্দর কর্মপরিবেশ গড়ে তুলবে৷ নৈতিকভাবে দেশকে সার্ভিস দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সুন্দর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে মাদ্রাসার শিক্ষাথীরা সর্বদা প্রস্তুত।